শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তেঁথুলিয়া কবরস্থানে তার জানাযা নামাজ শেষে দাফন করা হবে। তার আগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভানু নেছাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে বলে জানান সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ।
উল্লেখ্য, নারী হয়েও দেশ মাতৃকার স্বাধীকার আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের তেঁথুলিয়া গ্রামের আব্দুল প্রামাণিকের স্ত্রী ভানু নেছা। মুক্তিযোদ্ধাদের বাঙ্কারে গোলাবারুদ সরবরাহ, সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণসহ বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে রেখেছিলেন অসামান্য ভূমিকা।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালে মহান মক্তিযুদ্ধে পাবনার সাঁথিয়ায় বিভিন্ন সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন নারী মুক্তিযোদ্ধা ভানু নেছা। সে সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গোলা-বারুদ মাথায় করে মুক্তিযোদ্ধাদের বাঙ্কারে বাঙ্কারে পৌঁছে দিতেন তিনি। একবার তিনি গুলিতে আহতও হয়েছিলেন। যার ফল স্বরুপ তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং নিয়মিত ভাতা প্রাপ্ত পান। ১৯৯৬ সালে পাবনায় ও ঢাকায় সরকারি-বেসরকারিভাকে তাঁকে সম্মানিত করা হয়।
সাঁথিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল লতিফ জানান, একাত্তরে নন্দনপুরে যখন পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ শুরু হয়, তখন আমরা বাঙ্কারে ছিলাম। ঠিক ওই সময় এই ভানু নেছা আমাদের অনেকভাবে সহযোগিতা করেছিল। আমাদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে গেলে আমি তাকে চিঠি লিখে সাঁথিয়া থানায় গিয়ে গোলাবারুদ আনতে বলেছিলাম। তখন সে মাজায় কাপড় বেঁধে থানা থেকে গোলাবারুদ নিয়ে আমাদের দিয়েছিল।
নন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস জানান, মুক্তিযোদ্ধা ভানু নেছা ছিলেন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। সাঁথিয়া স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত সতীর্থ পুরুষ অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে রনাঙ্গণে ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের এই অকুতোভয় সৈনিক।
প্রিন্ট