ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, আহত ৪০% Logo কুষ্টিয়ায় কাভার্ড ভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ Logo মাগুরায় চুরি যাওয়া ১০২টি স্মার্ট ফোন ও বিকাশ প্রতারণার টাকা উদ্ধার করে হস্তান্তর Logo ২য় ধাপে মাগুরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে Logo ইতালিতে বাংলাদেশ ‘ইমিগ্র্যান্টস’ অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন Logo গোয়ালন্দে প্রতীক পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা মুন্সির বিশাল শোডাউন Logo ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন Logo পাবনার চাটমোহরে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ Logo বারান্দায় টিনের ছাউনির নিচে চলছে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা Logo বিদেশী পিস্তল ও ম্যাগাজিন সহ ০১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরের আশ্রণের বাসীন্দাদের ভাগ্য পরিবতনের গল্প

“ইট-বালির ঘরে থাকতে পারবো ভাবিনি”

‘কিছুই ছিলোনা, গ্রামে অন্যের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করতাম, থাকতাম তাদেরই ঘুপছি ঘরে, স্বামী এলাকার একটি জুট মিলে কাজ করতো। দুই ছেলে এক মেয়ে তাদের বসবাসের কোন গৃহ ছিলোনা। আর এইভাবেই চলতো আমাদের জীবন’। কথা গুলো বলছিলো ফরিদপুরের সদর উপজেলার চাদপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণে একটি বসতঘর পাওয়া জোহরা বেগম ও সামসুর রহমানের দম্পত্তির কথা ।

মঙ্গলবার দুপুরের ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল অাহসান তালুকদার জেলার চাদপুর ইউনিয়নের চত্বর এলাকায় অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাসরত ১১৯টি পরিবারের খোঁজ খবর নিতে যান । সেখানে প্রত্যেক পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। শুনের তাদের সমস্যা ও জীবন মানের পরিবতনের কথা ।

 এসময়  জোহরা বেগম ও সামসুর রহমানের দম্পত্তি জানান, গত ছয় মাসের বেশি সময় এই আশ্রয়নের বসবাসের স্থান পেয়েছেন । স্বামী-স্ত্রী মিলে এখন গ্রামের পাশেই একটি জুট মিলে কাজ করেন । সন্তানদের দিয়েছেন স্কুলে পড়ালেখার জন্য । এখন এই পরিবারের স্বপ্ন ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করবেন। যে স্বপ্ন আগে ভাবতেই পারতো না। এখন ছোট তিন রুমের এই ঘরে তারা আলাদা ভাবে বসবাস করতে পারছেন।

এই দম্পত্তির মতো নিজেদের স্বচ্ছলতার কথা শুনালেন রিক্সা চালক অহিদ-তাসলিমার পরিবার। তাদের রয়েছে দুই ছেলে। একজন স্কুলে পড়ে অন্যজন মাদ্রারাসায় ভর্তি হয়েছে।

ঠিক এই ভাবে নিজের পরিবর্তনের কথা জানালেন, হেলাল-রেনুর দম্পত্তি। এরা জানালেন, নিজেদের মাথাগুজানো ঠিকা হয়েছে। স্বামী হেলাল বিভিন্ন স্কুলে ও হাট-বাজারে চটপটি বিক্রয় করেন। তাদের সংসারে রয়েছে একটি কন্যা সন্তান, তাকে এবারে স্কুলে ভর্তি করেছে।

চত্বরের আশ্রয়নে বসবাসরত কৃষক হাসান শেখ ও সাহিদা দম্পত্তি জানান, এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বাজারের পাশে সরকারি জায়গায় ছাপড়া ঘরে ছিলাম। এ জীবনের ইট-বালির ঘরে থাকতে পারবো ভাবিনি। প্রায় এক বছর হলো আমার নিজের একটি পাকা ঘর ও দুই শতাংশ জমি পেয়েছি। আমি সত্যিই শেখ হাসিনা সরকারের কাছে ৠণি।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসনক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানালেন, চত্বরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সকল বাসিন্দারের নিজস্ব পরিবর্তনের গল্প রয়েছে। তাদের এই গল্পের মূলকারিগর সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফরিদপুরসহ সারা দেশের আশ্রয়হীণদের নিজস্ব ঠিকানা গড়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরকারের নিদের্শেই আমরা দৈনন্দিন কাজের ফাকে ছুটে আসি এদের খোঁজ খবর নিতে। শুনি তাদের কথা। কোথাও কোন সমস্যা বা অতি প্রয়োজনীয় কিছু আছে কিনা। এই আশ্রয়নের বাসিন্দারা জানালেন তাদের একটি মসজিদ দরকার । অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেটি করে দিবো।

এসম তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী, সহকারি কমিশনার ভূমি জিয়াউল রহমান, চাদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান শামসুর নাহার মহিদ, ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ ।

 

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, আহত ৪০%

error: Content is protected !!

ফরিদপুরের আশ্রণের বাসীন্দাদের ভাগ্য পরিবতনের গল্প

আপডেট টাইম : ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

‘কিছুই ছিলোনা, গ্রামে অন্যের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করতাম, থাকতাম তাদেরই ঘুপছি ঘরে, স্বামী এলাকার একটি জুট মিলে কাজ করতো। দুই ছেলে এক মেয়ে তাদের বসবাসের কোন গৃহ ছিলোনা। আর এইভাবেই চলতো আমাদের জীবন’। কথা গুলো বলছিলো ফরিদপুরের সদর উপজেলার চাদপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণে একটি বসতঘর পাওয়া জোহরা বেগম ও সামসুর রহমানের দম্পত্তির কথা ।

মঙ্গলবার দুপুরের ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল অাহসান তালুকদার জেলার চাদপুর ইউনিয়নের চত্বর এলাকায় অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাসরত ১১৯টি পরিবারের খোঁজ খবর নিতে যান । সেখানে প্রত্যেক পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। শুনের তাদের সমস্যা ও জীবন মানের পরিবতনের কথা ।

 এসময়  জোহরা বেগম ও সামসুর রহমানের দম্পত্তি জানান, গত ছয় মাসের বেশি সময় এই আশ্রয়নের বসবাসের স্থান পেয়েছেন । স্বামী-স্ত্রী মিলে এখন গ্রামের পাশেই একটি জুট মিলে কাজ করেন । সন্তানদের দিয়েছেন স্কুলে পড়ালেখার জন্য । এখন এই পরিবারের স্বপ্ন ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করবেন। যে স্বপ্ন আগে ভাবতেই পারতো না। এখন ছোট তিন রুমের এই ঘরে তারা আলাদা ভাবে বসবাস করতে পারছেন।

এই দম্পত্তির মতো নিজেদের স্বচ্ছলতার কথা শুনালেন রিক্সা চালক অহিদ-তাসলিমার পরিবার। তাদের রয়েছে দুই ছেলে। একজন স্কুলে পড়ে অন্যজন মাদ্রারাসায় ভর্তি হয়েছে।

ঠিক এই ভাবে নিজের পরিবর্তনের কথা জানালেন, হেলাল-রেনুর দম্পত্তি। এরা জানালেন, নিজেদের মাথাগুজানো ঠিকা হয়েছে। স্বামী হেলাল বিভিন্ন স্কুলে ও হাট-বাজারে চটপটি বিক্রয় করেন। তাদের সংসারে রয়েছে একটি কন্যা সন্তান, তাকে এবারে স্কুলে ভর্তি করেছে।

চত্বরের আশ্রয়নে বসবাসরত কৃষক হাসান শেখ ও সাহিদা দম্পত্তি জানান, এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বাজারের পাশে সরকারি জায়গায় ছাপড়া ঘরে ছিলাম। এ জীবনের ইট-বালির ঘরে থাকতে পারবো ভাবিনি। প্রায় এক বছর হলো আমার নিজের একটি পাকা ঘর ও দুই শতাংশ জমি পেয়েছি। আমি সত্যিই শেখ হাসিনা সরকারের কাছে ৠণি।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসনক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানালেন, চত্বরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সকল বাসিন্দারের নিজস্ব পরিবর্তনের গল্প রয়েছে। তাদের এই গল্পের মূলকারিগর সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফরিদপুরসহ সারা দেশের আশ্রয়হীণদের নিজস্ব ঠিকানা গড়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরকারের নিদের্শেই আমরা দৈনন্দিন কাজের ফাকে ছুটে আসি এদের খোঁজ খবর নিতে। শুনি তাদের কথা। কোথাও কোন সমস্যা বা অতি প্রয়োজনীয় কিছু আছে কিনা। এই আশ্রয়নের বাসিন্দারা জানালেন তাদের একটি মসজিদ দরকার । অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেটি করে দিবো।

এসম তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী, সহকারি কমিশনার ভূমি জিয়াউল রহমান, চাদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান শামসুর নাহার মহিদ, ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ ।