মাগুরা জেলার বগিয়া ইউনিয়নের আলোকদিয়া বাজারের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পাশে পুরাতন ছোট একটি ফার্মাসির মালিক সৈয়দ তরিফুল ইসলাম তরুণ জন্মলগ্ন থেকেই তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয় থেকে তিনি আর্থিক অসসচ্ছলতার কারণে সরকারিভাবে ভাতাও পান। বর্তমান দ্রব্যমূলের বাজার নিদারুনভাবে সবার মতো তাকেও সংসার চালাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
বাবা সৈয়দ মাছিরুল ইসলাম ছেলের শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে মৃত্যুর আগে আলোকদিয়া বাজারের উপর ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পূর্বপাশে ৫ শতাংশের একটি জমি সৈয়দ তরিফুল ইসলাম তরুণকে লিখে দিয়ে যান। যেটি পারিবারিক ভাবে ৫০ বছরের উপর নিজেদের দখলে আছে। সেই জমির উপর কোনো মতো ছোট একটা টিনের ছাপড়া ঘর করে সেটা ভাড়া দিয়ে ও ফার্মেসির উপর ভর করে তিনি অনেক কষ্টে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন।
কিন্তু ঐ ছোট এক খন্ড জমিই যেন ক্রমেই কাল করে দাঁড়াচ্ছে প্রতিবন্ধী তরিফুল ইসলাম তরুণ এর জন্য। ক্রমশ মূল্যবান হয়ে উঠা মাত্র ৫ শতাংশের জমির লোভ কোনোভাবেই এক শ্রেণীর স্বার্থান্নেষী মানুষ সংবরণ করতে পারছেন না। ইচ্ছেকৃত ভাবে ভূমি রেকর্ডে গরমিল করে দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন তিনি, দেওয়ানি মামলা নং ৬৪৭/২০২১।
মামলাটি বর্তমানে চলমান থাকা অবস্থায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে উচ্ছেদ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই রকম একটি নোটিশ পেয়ে রীতি মতো আকাশ থেকে পড়েছেন সৈয়দ তরিফুল ইসলাম, সংসারের বোঝা নিয়ে চোখের সামনে শুধুই অন্ধকার দেখছেন।
নোটিশের ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান আমি উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেইনি, সবজি বিক্রেতাদের অভিযোগের কারণে আমি বলেছি যেন দোকানে কাঁচা সবজি বিক্রি করতে না পারে সে জন্য নোটিশ করেছি। তবে আলাপের এক পর্যায়ে তিনি ইউনিয়নের স্বার্থান্নেষী একটি মহলের সংশ্লিষ্ট থাকার কথা স্বীকার করেন। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের মধ্যে অবৈধভাবে একাধিক দোকান ও একটি ক্লিনিক নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে সরোজমিনে দেখা যায়।
প্রিন্ট