করোনা সংকট পরিস্থিতিতে এবারে পাংশা আদি মহাশ্মশানে ৮২তম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও মেলা স্থগিত করা হয়েছে। তবে সনাতন ধর্মের রীতি অনুযায়ী শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, সন্ধ্যা আরতি, শ্রীশ্রী শ্যামামায়ের পূজা, পদাবলী কীর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণসহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যার পর পাংশা আদি মহাশ্মশানে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ অন্তে শুভ অধিবাস ও সন্ধ্যা আরতির মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়েছে। কর্মসূচী চলবে ৭মার্চ পর্যন্ত।
পাংশা আদি মহাশ্মাশান কমিটির সভাপতি অনিল কুমার বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব কুমার কুন্ডু জানান, করোনা সংকট পরিস্থিতিতে পাংশা আদি মহাশ্মশানের ৮২তম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। স্বল্প পরিসরে ধর্মানুষ্ঠানের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে ৬দিন ব্যাপী শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ এবং ৩দিন ব্যাপী পদাবলী কীর্তন হবে।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- ২৫ ফেব্রুয়ারী শুভ অধিবাস, ২৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টায় শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সন্ধ্যা আরতি ও ৭টায় শ্রীশ্রী শ্যামা মায়ের পূজা, ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টায় শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সন্ধ্যা আরতি, ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টায় শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সন্ধ্যা আরতি, ১মার্চ বিকেল ৪টায় শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সন্ধ্যা আরতি, ২মার্চ বিকেল ৪টায় শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সন্ধ্যা আরতি, ৩মার্চ বিকেল ৪টায় শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সন্ধ্যা আরতি, ৪মার্চ বিকেল ৩টা হতে পদাবলী কীর্তন শুরু হবে। ওইদিন রাত সাড়ে ৭টায় সন্ধ্যা আরতি হবে।
৪ মার্চ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেলে পদাবলী কীর্তন পরিবেশন করা হবে। ৭ মার্চ শ্রীমন মহাপ্রভ‚র ভোগ অন্তে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শেষ হবে।