ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাটিরাঙ্গায় পাহাড়ের মাটি খুঁড়লেই মিলছে কয়লা

-পাহাড়ের গায়ে কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়লেই মিলছে কয়লা। ছবিঃ সংগৃহীত।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বামা গোমতী পাহাড়ের মাটি খুঁড়লেই মিলছে কয়লা।

স্থানীয়রা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে কয়লা বের করে নিয়ে যাচ্ছেন। এই কয়লা রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন তাঁরা। সেখানে আরও কয়েকটি জায়গায় এভাবে কয়লা আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অবশ্য এই কয়লার ভান্ডারের বিস্তৃতি ও গভীরতা সম্পর্কে কোনো তথ্য কেউ দিতে পারেননি।

আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গণি বলেন, পাহাড়ের গায়ে কয়লার সন্ধান প্রায় এক বছর আগে পাওয়া গেলেও তিনি জেনেছেন সম্প্রতি। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় বিষয়টি প্রায় অজানাই থেকে গিয়েছিল। জানার পর তিনি নিজে গিয়ে দেখে এসেছেন। বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।

স্থানীয় কৃষক মো. হানিফ বলেন, ‘প্রায় বছরখানেক আগে আদা-হলুদ রোপণের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে কয়লা দেখতে পাই। পরে কৌতূহলী হয়ে কয়লা সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে নিশ্চিত হয়েছি। অন্যদের জানালে অনেকেই আগ্রহী হয়ে সেসব কয়লা সংগ্রহ করে রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করছে।’

আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দুর্গম পাহাড়ে কয়লা পাওয়ার বিষয়টি সঠিক হলে তা পাহাড়ের বড় পাওয়া হবে।

বামা গোমতীর একাধিক স্থানে মাটির নিচে কয়লা থাকার কথা জানিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রংছা কান্তি ত্রিপুরা কয়লা উত্তোলনে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।

বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউপির বামা গোমতী এলাকায় কয়লা পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয়রা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বলব, বিষয়টি তদন্ত করে আমাদের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে। রিপোর্ট পরবর্তী আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হব।’

-কয়লার সন্ধান পাওয়ার খবরে লোকজনের ভিড়। ছবিঃ সংগৃহীত।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মাটিরাঙ্গায় পাহাড়ের মাটি খুঁড়লেই মিলছে কয়লা

আপডেট টাইম : ০৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে। মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বামা গোমতী পাহাড়ের মাটি খুঁড়লেই মিলছে কয়লা।

স্থানীয়রা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে কয়লা বের করে নিয়ে যাচ্ছেন। এই কয়লা রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন তাঁরা। সেখানে আরও কয়েকটি জায়গায় এভাবে কয়লা আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অবশ্য এই কয়লার ভান্ডারের বিস্তৃতি ও গভীরতা সম্পর্কে কোনো তথ্য কেউ দিতে পারেননি।

আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গণি বলেন, পাহাড়ের গায়ে কয়লার সন্ধান প্রায় এক বছর আগে পাওয়া গেলেও তিনি জেনেছেন সম্প্রতি। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় বিষয়টি প্রায় অজানাই থেকে গিয়েছিল। জানার পর তিনি নিজে গিয়ে দেখে এসেছেন। বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।

স্থানীয় কৃষক মো. হানিফ বলেন, ‘প্রায় বছরখানেক আগে আদা-হলুদ রোপণের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে কয়লা দেখতে পাই। পরে কৌতূহলী হয়ে কয়লা সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে নিশ্চিত হয়েছি। অন্যদের জানালে অনেকেই আগ্রহী হয়ে সেসব কয়লা সংগ্রহ করে রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করছে।’

আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দুর্গম পাহাড়ে কয়লা পাওয়ার বিষয়টি সঠিক হলে তা পাহাড়ের বড় পাওয়া হবে।

বামা গোমতীর একাধিক স্থানে মাটির নিচে কয়লা থাকার কথা জানিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রংছা কান্তি ত্রিপুরা কয়লা উত্তোলনে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।

বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউপির বামা গোমতী এলাকায় কয়লা পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয়রা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বলব, বিষয়টি তদন্ত করে আমাদের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে। রিপোর্ট পরবর্তী আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হব।’

-কয়লার সন্ধান পাওয়ার খবরে লোকজনের ভিড়। ছবিঃ সংগৃহীত।

প্রিন্ট