নড়াইলের কালিয়ার পাচগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মাথায় রাম দায়ের কোপে আহত মাওলানা ইমাম আল-আমিন শেখ (৩৫) চিকিৎসাধীন আবস্থায় ঢাকায় মারা গেছেন।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত আল- আমিন কালিয়া উপজেলার মহিষখোলা গ্রামের মৃত আবুল শেখের ছেলে। তিনি স্থানীয় পাটেশ্বরী মসজিদে ইমাম।
হত্যা ঘটনায় নিহতের ভাই মো. লাহু শেখ বাদি হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,পাচগ্রাম ইউনিয়নের ইউপির চেয়ারম্যান জহুরুল হক ও বাদশা মোল্যা’র সাথে এলাকার আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিলো। মঙ্গলবার বিকালে (১৬ ফেব্রুয়ারি) মহিষখোলা গ্রামের মাহাবুর শেখ ও রিজাউল ম্যোলার বাড়ির সিমানা নির্ধারণ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এর জের ধরে সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়,গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।
এসময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে জহুরুল মোল্যা পক্ষের মাহাবুব শেখ,রশিদ শেখ,জাহাঙ্গীর মোল্যা,শাহিন মোল্যার নেতৃত্বে বাদশা মোল্যার পক্ষের উপর হামলা চালায়।
হামলায় মসজিদের ইমাম মাওলালা আল আমিন,হাসান মোল্যা (২০), হোসেন মোল্যা (২০),
সুফিয়ান মোল্য (২৫), জিহাদ মো্যলা (২৩) ও তহিদ শেখ ,হাফিজুর মোল্যা (৫৫) ও শিহাব মোল্যা (৩০) আহত হয়। আহতদেরকে নড়াইল সদর হাসপাতাল ও খুলনা ২৫০শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মাথায় ধারালো রামদায়ের কোপে আল-আমিনের খুলি ফেটে গেলে তাকে প্রথমে খুলনা ২৫০শয্যা হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ৪দিন আইসি ইউতে
থাকার পরে তিনি মারা যান।
নিহত আল-আমিনের ভাতিজা তানজিমুর রহমান অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক এর নানা ধরনের অপকর্মের বাধা দেবার কারনেই মূলতঃ প্রতিপক্ষ বাদশা মোল্যার লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়েই হত্যার ঘটনা ঘটনা হয়েছে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কনি মিয়া বলেন,ঐ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে,৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রিন্ট