ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন

নৌকা প্রতীক পেতে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী

শেষ সময় পার করছে একাদশ সংসদ। সামনের জানুয়ারীতে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ অবস্থায় একই মেয়াদে দ্বিতীয় দফায় শূন্য হলো মহানগরী ও বোয়ালখালী উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনি আসন। যদিও জাতীয় সংসদের স্পিকার এখনও আসনটি শূন্য ঘোষণা করেননি।
স্পিকার শূন্য ঘোষণার পর শেষসময়ে উপ-নির্বাচনে যিনি সংসদ সদস্য হবেন, তিনি সময় পাবেন এক বছরেরও কম। কারণ, আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।

কে হচ্ছেন শেষসময়ের এই এমপি— সেটা নিয়ে কৌতুহল আছে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে। তাদের মধ্যে এমন ধারণা আছে, যে দলেরই হোক, মেয়াদের শেষ কয়েকমাসের জন্য যিনি এমপি হবেন তিনিই অনায়াসে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনেরও বৈতরণী পার হবেন।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ একাংশ) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫। এর মধ্যে ২ লাখ ৪১ হাজার ১৯৮ পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৮৭ নারী।
২০০৮ সাল থেকে পরপর তিন দফায় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরীক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তিনি মারা গেলে চলতি মেয়াদের প্রথম দফায় আসনটি শূন্য হয়। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। তিনিও গত ৫ ফেব্রুয়ারি মধ্য রাতে মারা যান।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ ধারায় বলা আছে, ‘সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’

মেয়াদ যতদিনই হোক, প্রয়াত বাদল-মোছলেমের আসনে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহের কমতি নেই সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে। তবে মোছলেম উদ্দিনের মৃত্যুর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই ‘চক্ষুলজ্জায়’ অনেক নেতা সরাসরি সেটা না বল্লেও। আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা, স্বল্প মেয়াদের হলেও এই উপ-নির্বাচনে দলের মনোনয়ন আদায় করতে পারলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে অংশ নেওযার পথ পরিষ্কার হবে।

বিদ্যমান বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ নিজ দল কিংবা জোটের শরিক দল থেকে যাকেই নৌকা প্রতীক দেবে, তার জয় সুনিশ্চিত বলে মনে করছেন এলাকার লোকজন।

এলাকায় আলোচনার সাথে প্রার্থী হিসেবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সম্ভাব্য উপ-নির্বাচনের যাদের নাম শুনা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে তারা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি এস এম আবুল কালাম, প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী শিরিন আহমেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ কমিটির সাবেক সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু।

এছাড়া রয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনে নেতৃত্ব দেওয়া এস এম আবু তৈয়ব এবং প্রয়াত মঈনউদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা বাদল,সাবেক ছাত্রনেতা আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান, বি জি এম ই’র সাবেক সহ সভাপতি এম এ ছালামের নামও এসেছে আলোচনায়।

উল্লেখ্য যে গত ৫ ফেব্র্যয়ারী রাত সাড়ে ১২ টায় সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করলে এই আসনটি শুন্য হয়ে যান।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ

error: Content is protected !!

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন

নৌকা প্রতীক পেতে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী

আপডেট টাইম : ১২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শেষ সময় পার করছে একাদশ সংসদ। সামনের জানুয়ারীতে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ অবস্থায় একই মেয়াদে দ্বিতীয় দফায় শূন্য হলো মহানগরী ও বোয়ালখালী উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনি আসন। যদিও জাতীয় সংসদের স্পিকার এখনও আসনটি শূন্য ঘোষণা করেননি।
স্পিকার শূন্য ঘোষণার পর শেষসময়ে উপ-নির্বাচনে যিনি সংসদ সদস্য হবেন, তিনি সময় পাবেন এক বছরেরও কম। কারণ, আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।

কে হচ্ছেন শেষসময়ের এই এমপি— সেটা নিয়ে কৌতুহল আছে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে। তাদের মধ্যে এমন ধারণা আছে, যে দলেরই হোক, মেয়াদের শেষ কয়েকমাসের জন্য যিনি এমপি হবেন তিনিই অনায়াসে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনেরও বৈতরণী পার হবেন।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ একাংশ) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫। এর মধ্যে ২ লাখ ৪১ হাজার ১৯৮ পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৮৭ নারী।
২০০৮ সাল থেকে পরপর তিন দফায় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরীক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তিনি মারা গেলে চলতি মেয়াদের প্রথম দফায় আসনটি শূন্য হয়। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। তিনিও গত ৫ ফেব্রুয়ারি মধ্য রাতে মারা যান।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ ধারায় বলা আছে, ‘সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’

মেয়াদ যতদিনই হোক, প্রয়াত বাদল-মোছলেমের আসনে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহের কমতি নেই সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে। তবে মোছলেম উদ্দিনের মৃত্যুর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই ‘চক্ষুলজ্জায়’ অনেক নেতা সরাসরি সেটা না বল্লেও। আওয়ামী লীগ নেতাদের ধারণা, স্বল্প মেয়াদের হলেও এই উপ-নির্বাচনে দলের মনোনয়ন আদায় করতে পারলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে অংশ নেওযার পথ পরিষ্কার হবে।

বিদ্যমান বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ নিজ দল কিংবা জোটের শরিক দল থেকে যাকেই নৌকা প্রতীক দেবে, তার জয় সুনিশ্চিত বলে মনে করছেন এলাকার লোকজন।

এলাকায় আলোচনার সাথে প্রার্থী হিসেবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সম্ভাব্য উপ-নির্বাচনের যাদের নাম শুনা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে তারা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি এস এম আবুল কালাম, প্রয়াত মোছলেম উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী শিরিন আহমেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ কমিটির সাবেক সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু।

এছাড়া রয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনে নেতৃত্ব দেওয়া এস এম আবু তৈয়ব এবং প্রয়াত মঈনউদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা বাদল,সাবেক ছাত্রনেতা আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান, বি জি এম ই’র সাবেক সহ সভাপতি এম এ ছালামের নামও এসেছে আলোচনায়।

উল্লেখ্য যে গত ৫ ফেব্র্যয়ারী রাত সাড়ে ১২ টায় সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করলে এই আসনটি শুন্য হয়ে যান।