ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১০ টায় কৃষ্ণপুরের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন ফকিরের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্তকারীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সজ্জিত হয়ে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও বাজারের দোকানপাট ভাংচুর করে। এমনকি কৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে স্কুলে ঢুকে তাদের নৈরাজ্য চালায়।
সরেজমিনে ইউনিয়ন পরিষদ ঘুরে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, তিনটি কাচের জানালা, চেয়ার টেবিল, আসবাবপত্র ও ২টি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন কিছু ভাংচুর করা হয়েছে।এছাড়া চারদিকে ছড়িয়ে আছে ইটের ভাঙ্গা অংশ। দুর্বৃত্তকারীরা ভাংচুর শেষে সিসি ক্যামেরার ডিভিআর বক্স নিয়ে গেছে বলে জানান ইউনিয়ন পরিষদের এক ব্যক্তি।
কৃষ্ণপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তিতাস জানান, আমার কর্মীদের আমি বলেছি যাতে তারা কোন মারামারিতে না জড়ায়। আমার কর্মীরা নিরব ভূমিকা পালন করেছে। বিল্লাল হোসেন ফকিরের নেতৃত্বে যে ভাংচুর হয়েছে তার সঠিক বিচার আমি চাই। এরা সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে তাদের ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। এরা চিহ্নিত জামাতের লোক, এরা রাজাকার।
সদরপুর থানার ওসি সুব্রত গোলদার জানান, আমরা ঘটনা স্থলে পৌঁছে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষন করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করি। আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে অনেক পুলিশ সদস্য ঘটনা স্থলে মোতায়েন করা আছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক। শীঘ্রই ভাংচুরের ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে মুঠো ফোনে সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন ফকিরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রিন্ট