মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নবম প্রয়াণ দিবেস পাবনার পৈত্রিকভিটায় আয়োজিত স্মরণসভায় ভারতীয় দূতাবাসের রাজশাহীস্থ সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুরে পাবনা শহরের গোপালপুর হেমসাগর লেনের বাড়িতে সুচিত্রা সেনের আবক্ষ ভাষ্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অতিথিরা। এ সময় তার স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. রামদুলাল ভৌমিকের সভাপতিত্বে স্মরনসভা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ভারতীয় হাইকমিশনার কার্যালয় রাজশাহীর দ্বিতীয় সচিব দীপক কুমার কাউলা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম লাল, পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান। আবৃত্তি শিল্পী আসাদ বাবুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু।
শিক্ষাবিদ প্রফেসর কামরুজ্জামান বলেন, মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে নিয়ে পাবনায় তেমন লেখালেখি নেই, কাঙ্খিত বই বের হচ্ছেনা। সর্বোপরি তাকে নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে না। সুচিত্রাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে জানাতে তাকে নিয়ে আরও গবেষণা হওয়া দরকার।
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. রামদুলাল ভৌমিক বলেন, সুচিত্রা সেনের এই বাড়িটি সংগ্রহশালা করার জন্য যে প্রস্তাবনা সেটি আরও অন্যান্য প্রকল্পের সাথে প্যাকেজ হয়ে থমকে আছে। কোনো গতি নেই। সুচিত্রা সেনের বাড়িটি নিয়ে ওই প্যাকেজ থেকে বের করে শুধু একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করলে গতি আসবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন, আওয়ামীলীগ নেতা বিজয় ভূষন রায়, পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক আখতারুজ্জামান আখতার, কৃষিবিদ জাফর সাদেক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট পাবনার সভাপতি ফরিদুল ইসলাম খোকন, সম্পাদক দেওয়ান মাজহারুল ইসলাম, পরিষেদর দপ্তর সম্পাদক শিশির ইসলাম প্রমুথ।
প্রিন্ট