দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় সেখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট হাবিবুল বাসার, সহকারী বায়োকেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসসহ র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার তথ্য ছিল। পর্যায়ক্রমে এসব ভাটায় অভিযান চালানো হচ্ছে। আজ সকাল থেকে দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া, দুঃখীপুর, কিশোরীনগর, ডাংমড়কা, প্রাগপুরে ছয়টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি কাঁচা ইট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ভাটাগুলোর মধ্যে দৌলতপুরের আদাবাড়িয়া এলাকার আরইউবি ব্রিকসের মালিক মো. রাজনকে পাঁচ লাখ টাকা, দুঃখীপুর গ্রামে আরএনবি ব্রিকসের মালিক আরিফুল ইসলামকে তিন লাখ টাকা, কিশোরীনগরে এসআরবি ব্রিকসের মালিক আহসান হাবিবকে তিন লাখ টাকা, ডাংমড়কা গ্রামে এমএরএন ব্রিকসের মালিক সামেদ আলীকে তিন লাখ টাকা, এনবিএল ব্রিকসের মালিক মোহায়মেনুল হককে পাঁচ লাখ টাকা এবং প্রাগপুর (মাঠপাড়া) এলাকার বিএসবি ব্রিকসের মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, জরিমানা করা ভাটাগুলো অবৈধভাবে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল। কোনো কোনো ভাটায় ব্যাপকভাবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছিল। সবাইকে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৯ অনুযায়ী ইটভাটা পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা না হলে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।
প্রিন্ট