ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo প্রমত্তা গড়াই নদীতে শুষ্ক মৌসুমে পানি শূন্য ! Logo সংস্কারের অভাবে ভাঙা সেতু দিয়ে চলছে যানবাহন Logo দৌলতপুরে অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার Logo আগামীকালের পর থেকে যদি কারো ঘরে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়, তার অবস্থা হবে ভয়াবহঃ -সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল Logo ফরিদপুর সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত, আহত ৫ Logo সমাজসেবার বিশেষ অবদানে সম্মাননা স্মারক পেলেন দৌলতদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান রহমান মন্ডল Logo তানোরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর সমাপনী Logo খোকসায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এমপি আব্দুর রউফ Logo লালপুরে প্রেমিককে কুপিয়ে জখম, প্রেমিকা আটক Logo গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী মাহেন্দ্র ও ট্রলির সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৪
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পাটকে কৃষিপণ্য গণ্য করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, ‘পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য করার জন্য বিভিন্ন তরফ থেকে সুপারিশ ও আলোচনা ছিল। আজ (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে এটাকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য করতে হবে। পাশাপাশি সে অনুযায়ী কৃষির সব সুযোগ-সুবিধা পাট খাত পাবে।’

পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন। সে সুবাদে কৃষির সব সুযোগ-সুবিধা পাট খাত পাবে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে পাটজাত পণ্য ও পাটের আঁশের ব্যবহার অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি এখানে অনেক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এটিকে কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এখন থেকে পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য করতে হবে। এতোদিন এটা কৃষিপণ্য ছিল না।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, ‘এতোদিন পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য করার জন্য বিভিন্ন তরফ থেকে সুপারিশ ও আলোচনা ছিল। আজ (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে এটাকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য করতে হবে। পাশাপাশি সে অনুযায়ী কৃষির সব সুযোগ-সুবিধা পাট খাত পাবে।’

তিনি বলেন, ‘পাট উৎপাদনের যে প্রক্রিয়া ছিল, অনেক ক্ষেত্রে শিল্পজাত পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পাট উৎপাদনে উৎসাহ যাতে বেশি দেয়া যায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

‘পাট কৃষিজাত পণ্য হিসেবে বিবেচিত হলে পাটের আবাদে কৃষকরা কৃষি খাতের মতো ঋণ পাবেন। একইসঙ্গে তারা রপ্তানি খাতের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে এটি বাস্তবায়নের জন্য বলেছেন।’

সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি-২০২২ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এই নীতিমালায় মূলত বাংলাদেশের কৃষির উৎপাদন ও প্রচলিত বাজার ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের চেষ্টা করা হয়েছে। কীভাবে কৃষির বিপণনকে বাজারমুখী করা যায় এবং উৎপাদনকারীকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেয়া যায় সে বিষয়গুলো এখানে আনা হয়েছে।’

কৃষি বিপণন নীতিমালার সুবিধা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কৃষি ব্যবসায় বাজার সংযোগ বৃদ্ধি করা হবে। কৃষিপণ্য বিপণনে সহায়ক বাজার তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। একইসঙ্গে কমিউনিটিভিত্তিক, চুক্তিভিত্তিক ও গ্রুপভিত্তিক বিপণন জোরদার করা হবে।

‘কৃষি উপকরণ বিপণনকে সহজীকরণ ও আধুনিকায়ন, কৃষিপণ্যের গুদাম ও সংরক্ষণাগার ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন এবং কৃষি বিপণন অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব হ্রাসে পদক্ষেপ নেয়া হবে। ই-এগ্রিকালচার মার্কেটিংয়ে সহায়তা দেয়া হবে। কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নেরও সুযোগ তৈরি করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এছাড়া কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে ডিজিটাল মার্কেট করা হবে। উন্নত গবেষণাগার, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় করার জন্য সরবরাহ ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা হবে। নিরাপদ কৃষি পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থায় সহায়তা করা হবে।

‘কৃষি পরিবহন সাপ্লাই চেইনের উন্নয়ন করা হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ কৃষি পণ্যের বিপণন সম্প্রসারণ করা হবে। কৃষিভিত্তিক ব্যবস্থা ও শিল্প উন্নয়নে সহায়তা করা হবে। কৃষি উন্নয়নে বিপণন ও গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কৃষি বিপণনে দক্ষ জনবল গঠন করা হবে। কৃষি পণ্যের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এরকম মোট ১৯টি বিষয়ে নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রমত্তা গড়াই নদীতে শুষ্ক মৌসুমে পানি শূন্য !

error: Content is protected !!

পাটকে কৃষিপণ্য গণ্য করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট টাইম : ০৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, ‘পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য করার জন্য বিভিন্ন তরফ থেকে সুপারিশ ও আলোচনা ছিল। আজ (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে এটাকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য করতে হবে। পাশাপাশি সে অনুযায়ী কৃষির সব সুযোগ-সুবিধা পাট খাত পাবে।’

পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন। সে সুবাদে কৃষির সব সুযোগ-সুবিধা পাট খাত পাবে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে পাটজাত পণ্য ও পাটের আঁশের ব্যবহার অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি এখানে অনেক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এটিকে কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এখন থেকে পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য করতে হবে। এতোদিন এটা কৃষিপণ্য ছিল না।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, ‘এতোদিন পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য করার জন্য বিভিন্ন তরফ থেকে সুপারিশ ও আলোচনা ছিল। আজ (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে এটাকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে গণ্য করতে হবে। পাশাপাশি সে অনুযায়ী কৃষির সব সুযোগ-সুবিধা পাট খাত পাবে।’

তিনি বলেন, ‘পাট উৎপাদনের যে প্রক্রিয়া ছিল, অনেক ক্ষেত্রে শিল্পজাত পণ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পাট উৎপাদনে উৎসাহ যাতে বেশি দেয়া যায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

‘পাট কৃষিজাত পণ্য হিসেবে বিবেচিত হলে পাটের আবাদে কৃষকরা কৃষি খাতের মতো ঋণ পাবেন। একইসঙ্গে তারা রপ্তানি খাতের সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে এটি বাস্তবায়নের জন্য বলেছেন।’

সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি-২০২২ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এই নীতিমালায় মূলত বাংলাদেশের কৃষির উৎপাদন ও প্রচলিত বাজার ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের চেষ্টা করা হয়েছে। কীভাবে কৃষির বিপণনকে বাজারমুখী করা যায় এবং উৎপাদনকারীকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেয়া যায় সে বিষয়গুলো এখানে আনা হয়েছে।’

কৃষি বিপণন নীতিমালার সুবিধা তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কৃষি ব্যবসায় বাজার সংযোগ বৃদ্ধি করা হবে। কৃষিপণ্য বিপণনে সহায়ক বাজার তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। একইসঙ্গে কমিউনিটিভিত্তিক, চুক্তিভিত্তিক ও গ্রুপভিত্তিক বিপণন জোরদার করা হবে।

‘কৃষি উপকরণ বিপণনকে সহজীকরণ ও আধুনিকায়ন, কৃষিপণ্যের গুদাম ও সংরক্ষণাগার ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন এবং কৃষি বিপণন অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব হ্রাসে পদক্ষেপ নেয়া হবে। ই-এগ্রিকালচার মার্কেটিংয়ে সহায়তা দেয়া হবে। কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নেরও সুযোগ তৈরি করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এছাড়া কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে ডিজিটাল মার্কেট করা হবে। উন্নত গবেষণাগার, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় করার জন্য সরবরাহ ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা হবে। নিরাপদ কৃষি পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থায় সহায়তা করা হবে।

‘কৃষি পরিবহন সাপ্লাই চেইনের উন্নয়ন করা হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ কৃষি পণ্যের বিপণন সম্প্রসারণ করা হবে। কৃষিভিত্তিক ব্যবস্থা ও শিল্প উন্নয়নে সহায়তা করা হবে। কৃষি উন্নয়নে বিপণন ও গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। কৃষি বিপণনে দক্ষ জনবল গঠন করা হবে। কৃষি পণ্যের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এরকম মোট ১৯টি বিষয়ে নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’