ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পাওনা টাকার দাবী করায় ঝিনাইদহে ব্যবসায়ীর নামে প্রতারক দম্পতির ২ জেলায় ২ মামলা দায়ের!

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চরমুরারীদহ গ্রামের মৃত বিশারত আলীর ছেলে মাহফুজুর রহমান। পারিবারিক ভাবে সম্পর্ক গড়ে ওঠে জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানা দম্পতির সাথে। সম্পর্কের জেরে নিজের কেনা ও পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ২২ শতক জমি বিক্রি করেন ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান।

জমি বিক্রির সময় টাকা না দিলেও চেক দেন জমি ক্রেতা আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানা। পাওনা টাকা না দিলে চেক ডিজঅনার মামলা করেন মাহফুজুর রহমান। এরপর থেকে তাকে হয়রানি করতে উঠে পড়ে লেগে পড়েছে প্রতারক আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানা দম্পতি।

যেই জেলায় তিনি কখনও যাননি। যার সাথে কোনদিন লেনদেন করেননি সেই জেলায় মাহফুজুর রহমানের নামে মিথ্যা প্রতারণা মামলা দিয়েছেন তারা। এখন টাকা পাওয়া তো দুরের কথা জেলায় জেলায় মামলার ঘানি টানতে দিন যাচ্ছে ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমানের।

মাহফুজুর রহমান জানান, দেড় বছর আগে হরিণাকুন্ডুর মকিমপুর ও সদর উপজেলার মুরারীদহ মৌজায় কেনা ও পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া মোট ৫০ শতক জমি বিক্রি করেন আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানার কাছে। ওই সময় ২৮ শতক জমির টাকা দিলেও ২২ শতক জমির টাকা না দিয়ে চেক দেয় অহিদা সুলতানা।

দিনের পর দিন টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকে তারা। উপায় না পেয়ে ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান ২০১৯ সালে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ৫৫ লাখ টাকা দাবী করে মামলা দায়ের করেন। এরপর শুরু হয় ওই দম্পতির প্রতারনা। মাহফুজুর রহমানকে হয়রানি করতে উঠে পড়ে লেগে পড়েন।

মাহফুজুর রহমানের নামে বিজ্ঞ মহানগর হাকিম এর আমলী আদালত দৌলতপুর থানা খুলনা ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ২ টি আলাদা প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। খুলনার দৌলতপুর আদালতের মামলা নং-সিআর ১৪৯/২০ ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ আদালতের মামলা নং-সিআর ১৭২/২০।

মাহফুজুর রহমান বলেন, আমার টাকা না দেওয়ার জন্য আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানা দম্পতি হয়রানি করতে শুরু করেছে। পটুয়াখালীতে আমি কোনদিন যায় নি। খুলনার দৌলতপুরে আমার কোন ব্যবসায় নেই। কিন্তু সেখানে আমার নামে মামলা করিয়েছে ওই প্রতারক চক্র। আমি এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

মাহফুজুর রহমান আরও অভিযোগ করে বলেন, আমি পটুয়াখালি ও খুলনার দৌলতপুরে মামলার হাজিরা দিতে যেতে পারছি না। সেখানে গেলে তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে আরিফুর রহমান আমার ক্ষতি করতে পারে। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানার সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

 

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

পাওনা টাকার দাবী করায় ঝিনাইদহে ব্যবসায়ীর নামে প্রতারক দম্পতির ২ জেলায় ২ মামলা দায়ের!

আপডেট টাইম : ০৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চরমুরারীদহ গ্রামের মৃত বিশারত আলীর ছেলে মাহফুজুর রহমান। পারিবারিক ভাবে সম্পর্ক গড়ে ওঠে জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানা দম্পতির সাথে। সম্পর্কের জেরে নিজের কেনা ও পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ২২ শতক জমি বিক্রি করেন ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান।

জমি বিক্রির সময় টাকা না দিলেও চেক দেন জমি ক্রেতা আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানা। পাওনা টাকা না দিলে চেক ডিজঅনার মামলা করেন মাহফুজুর রহমান। এরপর থেকে তাকে হয়রানি করতে উঠে পড়ে লেগে পড়েছে প্রতারক আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানা দম্পতি।

যেই জেলায় তিনি কখনও যাননি। যার সাথে কোনদিন লেনদেন করেননি সেই জেলায় মাহফুজুর রহমানের নামে মিথ্যা প্রতারণা মামলা দিয়েছেন তারা। এখন টাকা পাওয়া তো দুরের কথা জেলায় জেলায় মামলার ঘানি টানতে দিন যাচ্ছে ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমানের।

মাহফুজুর রহমান জানান, দেড় বছর আগে হরিণাকুন্ডুর মকিমপুর ও সদর উপজেলার মুরারীদহ মৌজায় কেনা ও পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া মোট ৫০ শতক জমি বিক্রি করেন আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানার কাছে। ওই সময় ২৮ শতক জমির টাকা দিলেও ২২ শতক জমির টাকা না দিয়ে চেক দেয় অহিদা সুলতানা।

দিনের পর দিন টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকে তারা। উপায় না পেয়ে ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান ২০১৯ সালে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ৫৫ লাখ টাকা দাবী করে মামলা দায়ের করেন। এরপর শুরু হয় ওই দম্পতির প্রতারনা। মাহফুজুর রহমানকে হয়রানি করতে উঠে পড়ে লেগে পড়েন।

মাহফুজুর রহমানের নামে বিজ্ঞ মহানগর হাকিম এর আমলী আদালত দৌলতপুর থানা খুলনা ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ২ টি আলাদা প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। খুলনার দৌলতপুর আদালতের মামলা নং-সিআর ১৪৯/২০ ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ আদালতের মামলা নং-সিআর ১৭২/২০।

মাহফুজুর রহমান বলেন, আমার টাকা না দেওয়ার জন্য আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানা দম্পতি হয়রানি করতে শুরু করেছে। পটুয়াখালীতে আমি কোনদিন যায় নি। খুলনার দৌলতপুরে আমার কোন ব্যবসায় নেই। কিন্তু সেখানে আমার নামে মামলা করিয়েছে ওই প্রতারক চক্র। আমি এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

মাহফুজুর রহমান আরও অভিযোগ করে বলেন, আমি পটুয়াখালি ও খুলনার দৌলতপুরে মামলার হাজিরা দিতে যেতে পারছি না। সেখানে গেলে তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে আরিফুর রহমান আমার ক্ষতি করতে পারে। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আরিফুর রহমান ও অহিদা সুলতানার সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।