বৃহস্পতিবার মধ্যরাত হতে সকল ধরনের প্রচার প্রচারনা বন্ধ রয়েছে নিয়ম অনুযায়ী। ফরিদপুর -২ আসনে শনিবার উপ- নির্বাচন। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ নির্বাচনে মোট দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার লক্ষে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্যা ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন এ্যাডঃ জয়নুল আবেদীন বকুল।
শনিবার সকাল ৮ টা হতে বিরতিহীন ভাবে ভোটগ্রহন চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।
নির্বাচন উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে প্রর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যাবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পুলিশ, র্যাব, বিজিবি,আনসারসহ আরো অনেক বাহিনী।
সেই সাথে প্রতিটি কেন্দ্রে মনিটরিং করবে ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচন পর্যবেক্ষনে থাকবে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
নগরকান্দা – সালথা উপজেলা ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে ফরিদপুর -২ আসন গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার হচ্ছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪ শত ৭২ জন। এর মধ্যে নগরকান্দায় মোট ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮ শত ৭৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৮১ হাজার ৮ শত ৬৭ জন, মহিলা ৭৬ হাজার ৮ জন। সালথা উপজেলায় মোট ভোটার হচ্ছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৪ শত ৬০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৬৯ হাজার ৫৩ জন, মহিলা ৬৩ হাজার ৪ শত ৭ জন। এবং কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৮ হাজার ১ শত ৩৭ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ৪শত ৩৫ জন এব মহিলা ভোটার হচ্ছে ১৩ হাজার ৭ শত ১ জন। ১২৩ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
অনেকের ধারনা এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় শত ভাগ নিশ্চিত। কারন দেশের বড় দুটি দল আওয়ামিলীগ ও বিএনপি। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করছেনা। সেই ক্ষেত্রে বিএনপি ভাবাপন্ন ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে কিনা সে বিষয়ে সংশয়ও রয়েছে।
সেই হিসেবে নৌকার বিজয় নিশ্চিত ভাবছেন ভোটাররা। অন্যদিকে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতেন দেশের বরেণ্য উলামায়ে কেরাম হযরত মাওলানা হাফেজী হুজুর।
|
তার দলের প্রতীক হচ্ছে বট গাছ। আর এই বট গাছের অন্ধভক্তও রয়েছে এর সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। এর সাথে যদি বিএনপি একাত্মতা ঘোষনা করে নির্বাচনে ভোট প্রদান করে সেই ক্ষেত্রে ফলাফল অন্যরকমও হতে পারে বলে অনেকের ধারনা। কিন্ত নগরকান্দা ও সালথায় সেরকম কোন অবস্থা লক্ষ করা যায়নি। অতএব নৌকার বিজয়ই দেখছেন সাধারণ ভোটাররা।
প্রিন্ট