ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রায়পুরায় সাঁড়াশি অভিযানে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার, দুই নারী আটক Logo লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে আটজন আহত, রেল যোগাযোগ বন্ধ Logo মুকসুদপুরে গরুর পায়ের রগ কেটে দিল প্রতিবেশী ! Logo লালপুরে আবারো গুলিবর্ষণ, এলাকায় উত্তেজনা Logo বাংলাদেশী পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা  প্রত্যাহারের দাবিতে পেট্রাপোল বন্দরে শ্রমিকদের আন্দোলন Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনালে মহম্মদপুর Logo ফরিদপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগ ‌ ওমর ফারুকের ‌ দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‌ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo বাগাতিপাড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান Logo বাঘা পৌরসভায় শুরু হওয়া ৫টির কাজের উদ্বোধন Logo হাতিয়ায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে দুইজনের মৃত্যু
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

প্রেমিকের সাথে অভিমানে সালথায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

ফরিদপুরের সালথায় প্রেমিকের উপর অভিমান করে রানী আক্তার মীম (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। নিহত মীম উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের দিনমজুর আফছার মাতুব্বরের মেয়ে। তিনি সালথা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে মোবাইল ফোনে প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে মিম ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের দাবি। তবে প্রেমিক ছেলেটির নাম ও ঠিকানা জানাতে পারেনি কেউ।

মিমের বাবা আফছার মাতুব্বর বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমি ও আমার স্ত্রী বাড়ির পাশে একটি মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে যাই। মিলাদে যাওয়ার পর একটা ছেলে আমাকে ফোন করে বলে, আপনি তাড়াতাড়ি বাড়িতে যান। বাড়ি গিয়ে দেখেন আপনার মেয়ের কি অবস্থা ? আমি স্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকীর পরেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখি আমার মেয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। এরপর থেকে ওই ছেলের ফোন বন্ধ। তবে তার ছবি রয়েছে আমার মেয়ের মোবাইলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নেওয়ার সময় মেয়ের ফোনও নিয়ে গেছে। আমাদের ধারনা ওই ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের সম্পর্ক ছিল।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের ঝগড়া হয়। পরে অভিমান করে আমার একমাত্র মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আমি ওই ছেলের সন্ধান চাই। পাশিপাশি ওর বিচার চাই। আমি গরীব মানুষ। তারপরেও মেয়েটা নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। ওকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলাম।

মিমের মা মোছা: নাজমা বেগম বলেন, আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এক ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। আরেক ছেলে ছোট। আর একমাত্র মেয়ে মিমকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল আমাদের। ওকে উচ্চশিক্ষা দিয়ে ভাল একটা চাকরী দিতে না পারলেও ভাল একটা চাকরীজীবী ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। সেই স্বপ্ন আজ মাটির নিচে চলে গেল।

গট্টি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি, তাতে সম্ভবত মেয়েটা তার প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিমের বাবা-মা একটি মিলাদ মাহফিলে যান। বাড়িতে তাদের মেয়ে সালথা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মিম একা ছিল। মিমের সঙ্গে একটা ছেলের সম্পর্ক রয়েছে। প্রেম গঠিত বিষয় নিয়েই মিম ঘরের ফ্যানের সাথে শরীরের ওঁড়না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে এমনটাই প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়পুরায় সাঁড়াশি অভিযানে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার, দুই নারী আটক

error: Content is protected !!

প্রেমিকের সাথে অভিমানে সালথায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট টাইম : ০৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ :

ফরিদপুরের সালথায় প্রেমিকের উপর অভিমান করে রানী আক্তার মীম (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। নিহত মীম উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের দিনমজুর আফছার মাতুব্বরের মেয়ে। তিনি সালথা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে মোবাইল ফোনে প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে মিম ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের দাবি। তবে প্রেমিক ছেলেটির নাম ও ঠিকানা জানাতে পারেনি কেউ।

মিমের বাবা আফছার মাতুব্বর বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমি ও আমার স্ত্রী বাড়ির পাশে একটি মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে যাই। মিলাদে যাওয়ার পর একটা ছেলে আমাকে ফোন করে বলে, আপনি তাড়াতাড়ি বাড়িতে যান। বাড়ি গিয়ে দেখেন আপনার মেয়ের কি অবস্থা ? আমি স্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকীর পরেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখি আমার মেয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। এরপর থেকে ওই ছেলের ফোন বন্ধ। তবে তার ছবি রয়েছে আমার মেয়ের মোবাইলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নেওয়ার সময় মেয়ের ফোনও নিয়ে গেছে। আমাদের ধারনা ওই ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের সম্পর্ক ছিল।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ের ঝগড়া হয়। পরে অভিমান করে আমার একমাত্র মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আমি ওই ছেলের সন্ধান চাই। পাশিপাশি ওর বিচার চাই। আমি গরীব মানুষ। তারপরেও মেয়েটা নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। ওকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলাম।

মিমের মা মোছা: নাজমা বেগম বলেন, আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এক ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছে। আরেক ছেলে ছোট। আর একমাত্র মেয়ে মিমকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল আমাদের। ওকে উচ্চশিক্ষা দিয়ে ভাল একটা চাকরী দিতে না পারলেও ভাল একটা চাকরীজীবী ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। সেই স্বপ্ন আজ মাটির নিচে চলে গেল।

গট্টি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি, তাতে সম্ভবত মেয়েটা তার প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিমের বাবা-মা একটি মিলাদ মাহফিলে যান। বাড়িতে তাদের মেয়ে সালথা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মিম একা ছিল। মিমের সঙ্গে একটা ছেলের সম্পর্ক রয়েছে। প্রেম গঠিত বিষয় নিয়েই মিম ঘরের ফ্যানের সাথে শরীরের ওঁড়না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে এমনটাই প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট