ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

এইচএসসি -২০২০

অটো পাসে আসনের চেয়ে উত্তীর্ণ বেশি

এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি। এতে ভালো ফল পেলেও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পছন্দ অনুযায়ী উচ্চশিক্ষায় ভর্তি নিয়ে বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সারাদেশে ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে দুই লাখ ৩৪ হাজার ২৪৮টি আসন রয়েছে। এর বাইরে ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে চার হাজার ৬৮টি ও ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ছয় হাজার ২৮১টি আসন রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় দেড়শ’ প্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা আড়াই লাখের কাছাকাছি।

এছাড়া ৯৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (ডিগ্রি) ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৪২৯ এবং স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৭০, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৭ হাজার ৫৪৬ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৫৭ হাজার ৫৪৬ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

এদিকে ফল প্রকাশের পর এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কোন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে, সে বিষয়ে প্রাথমিক কিছু সিদ্ধান্তও নিয়ে রেখেছে তারা। এবার বেশির ভাগ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এর মধ্যে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবার প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে।

এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি প্রস্তুতিমূলক সভা ডেকেছেন তারা। তবে পরীক্ষার তারিখ ঠিক হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায়। যদিও তার প্রাথমিক ধারণা হলো, মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। তিনি মনে করেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। আর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেই এই পরীক্ষা নিতে হবে।

সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে। তবে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আমির হোসেন বলেন, এখন তারা কবে, কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবেন, তা ঠিক করবেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয় এমন কলেজ আছে ৮৬৭টি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ বলেন, মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে তারা ভর্তির কাজটি শেষ করতে চান। আর তাদের সমস্যা হবে না। কারণ, তারা প্রচলিত নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করবেন। এ জন্য খোলার জন্য তারা বসে থাকবেন না।

চারটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আলোচনা করলেও এখনো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ২০১৯ ও ২০২০ সালের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ইতোমধ্যে এ ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় কোনো পাস-ফেল থাকছে না। শূন্য থেকে ১০০ নম্বরপ্রাপ্তদের তালিকা দেয়া হবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ভর্তি করতে পারবে। আগামী সপ্তাহে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সময় ঘোষণা করা হতে পারে।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, দেশে ৪৯টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এসবের মধ্যে কয়েকটির কার্যক্রম শুরু হয়নি আর কয়েকটি স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করে না। এছাড়া কলেজ পর্যায়ে পাঠদান এবং দূরশিক্ষণ পরিচালনা করছে দুটি। সেই হিসাবে মোট ৩৯টি ক্যাম্পাসভিত্তিক পাঠদান করে যেগুলো স্নাতকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মার্চের আগে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা বসে পরীক্ষার তারিখ ঠিক করবেন।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাগাতিপাড়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে দোয়া প্রার্থী মোঃ সেলিম রেজা

error: Content is protected !!

এইচএসসি -২০২০

অটো পাসে আসনের চেয়ে উত্তীর্ণ বেশি

আপডেট টাইম : ০৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২১

এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি। এতে ভালো ফল পেলেও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পছন্দ অনুযায়ী উচ্চশিক্ষায় ভর্তি নিয়ে বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সারাদেশে ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে দুই লাখ ৩৪ হাজার ২৪৮টি আসন রয়েছে। এর বাইরে ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে চার হাজার ৬৮টি ও ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ছয় হাজার ২৮১টি আসন রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় দেড়শ’ প্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা আড়াই লাখের কাছাকাছি।

এছাড়া ৯৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (ডিগ্রি) ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৪২৯ এবং স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৭০, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৭ হাজার ৫৪৬ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৫৭ হাজার ৫৪৬ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

এদিকে ফল প্রকাশের পর এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কোন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে, সে বিষয়ে প্রাথমিক কিছু সিদ্ধান্তও নিয়ে রেখেছে তারা। এবার বেশির ভাগ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এর মধ্যে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবার প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে।

এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি প্রস্তুতিমূলক সভা ডেকেছেন তারা। তবে পরীক্ষার তারিখ ঠিক হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায়। যদিও তার প্রাথমিক ধারণা হলো, মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। তিনি মনে করেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। আর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেই এই পরীক্ষা নিতে হবে।

সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে। তবে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আমির হোসেন বলেন, এখন তারা কবে, কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবেন, তা ঠিক করবেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয় এমন কলেজ আছে ৮৬৭টি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ বলেন, মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে তারা ভর্তির কাজটি শেষ করতে চান। আর তাদের সমস্যা হবে না। কারণ, তারা প্রচলিত নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করবেন। এ জন্য খোলার জন্য তারা বসে থাকবেন না।

চারটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আলোচনা করলেও এখনো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ২০১৯ ও ২০২০ সালের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ইতোমধ্যে এ ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় কোনো পাস-ফেল থাকছে না। শূন্য থেকে ১০০ নম্বরপ্রাপ্তদের তালিকা দেয়া হবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ভর্তি করতে পারবে। আগামী সপ্তাহে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সময় ঘোষণা করা হতে পারে।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, দেশে ৪৯টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এসবের মধ্যে কয়েকটির কার্যক্রম শুরু হয়নি আর কয়েকটি স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করে না। এছাড়া কলেজ পর্যায়ে পাঠদান এবং দূরশিক্ষণ পরিচালনা করছে দুটি। সেই হিসাবে মোট ৩৯টি ক্যাম্পাসভিত্তিক পাঠদান করে যেগুলো স্নাতকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মার্চের আগে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা বসে পরীক্ষার তারিখ ঠিক করবেন।