মাগুরায় একপেট আহার অতঃপর হাসি, মানবিক এই সংগঠন গাঙ্গুলিয়া গ্রামের অসহায়, গরীব ও বিছানা শয্যাশায়ী অসুস্থ রিয়াজুল ইসলামকে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করেছে। শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টার সময় মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের গাঙ্গুলিয়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম এর বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। রিয়াজুল ইসলাম পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রির ঢালাইয়ের কাজ করতেন।
গত ২০২০ সালে অর্থ্যাৎ ১ বছর ৮ মাস পূর্বে ঢালাই কাজে যাওয়ার পথে নছিমন উল্টে যায়, আর এই নছিমন প্রায় ১২ ফুট গভীর খাদে পড়ে গেলে রিয়াজুলের মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙ্গে যায়। তখন তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তার পিতা শাহিনুর মোল্লা ক্যান্সারে মারা গেছেন। অভাব অনটনের সংসার, হাল ধরেন রিয়াজুল ইসলাম। রাজ মিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে গত ১ বছর ৮ মাস পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে খাঁন খাঁন হয়ে যায়। ঢাকা থেকে চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকের পরামর্ষ অনুযায়ী একবুক হতাশা নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসে মাগুরা জেলার ডাঃ শফিকুর রহমান এর কাছে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাড়িতে বিছানা শয্যাশায়ী জীবন যাপন পার করে যাচ্ছে।
নিয়তির নির্মম পরিহাস এদিকে ১ সন্তান ফেলে রেখে স্ত্রীও চলে গেছে। আছে তার মায়ের কাছে। এখনও ভারতের ভেলুরে চিকিৎসা করলে হয়তো ভালো হয়ে যেত। ডাক্তারা বলছে অনেক টাকা লাগেবে। অল্প বয়সে কঠিন এই এক্সিডেন্টে আজ জীবন যেন অন্ধকারময়। বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে প্রতিনিয়ত। কে দাড়াবে এই রিয়াজুলের ভরন পোষনের পাশে? অসহায় রিয়াজুল কোথায় পাবে এতো টাকা।
এ অবস্থায় সরকার সহ কিংবা সমাজের বিত্তবানদের কাছে চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন।সহৃদয় ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার সাহায্যে এগিয়ে আসলে বাঁচতে পারে অসহায় রিয়াজুল ইসলামের জীবন। অন্য স্বাভাবিক মানুষের মতো বেঁচে থাকতে পারে সে। এর মধ্যো রিয়াজুলের শরীরের পচন ধরেছে সর্ব শরীর অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দৃশ্য দেখে রিয়াজুলের কথা শুনে দ্রুত ছুটে আসেন এক পেট আহার অতঃপর হাসির সদস্যরা। তারা রিয়াজুলের অবস্থা দেখে কিছু খাদ্য সামগ্রী ও নগদ আর্থিক সাহায্যর হাত বাড়ান।উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
এরপর তাদের অসহায়ত্ব ও দারিদ্রতার কথা শুনে তিনি স্থানীয় গনমাধ্যম সংবাদ কর্মীদের জানান। কান্নাজড়িত কন্ঠে রিয়াজুল বলেন, আমি বাচেতে চাই আমি আপনাদের সহযোগীতা চাই। রিয়াজুল ইসলাম দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারকে বলেন, হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন আমাকে অনেকবার আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। আর আজকে আমাকে দেখতে মাগুরা একপেট আহার অতঃপর হাসি এই মানবিক সংগঠনের ভাইরা আসছেন।
একপেট আহার অতঃপর হাসি সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সোহেল সবুজ, অর্থ পরিচালক রিপন মাহমুদ ও অডিট পরিচালক আউলিয়া হোসেন সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য মাননীয় এমপি সাইফুজ্জামান শিখর, সাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের কর্তৃপক্ষ, সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে সহযোগীতা কামনা করেন।
প্রিন্ট