বসতবাড়ির জমি দখল করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে ৭০ বছর বয়সী মাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে তার সৎ ছেলে, মেয়ে ও তার আত্মীয় স্বজন।
নির্যাতনের শিকার ওই মাকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার মা হাসপাতালে বেডে আঘাতের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নে রদ্রুবানা গ্রামে নিজ বাড়িতে। নির্যাতনের শিকার আলেয়া বেগম রদ্রুবানা গ্রামের মৃত জলিল সরদারের স্ত্রী।
এ ঘটনায় তার ছোট মেয়ে রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে সৎ ভাই মান্নান সরদার, বড় বোন আমেনা বেগম ও ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত আত্মীয় লিয়াকত শেখসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে শনিবার বিকেলে আলফাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার আলেয়া বেগম জানান, আমার সৎ ছেলে মেয়ে ছোট থাকতে তাদের মারা গেলে আমাকে বিয়ে করে। আমি তাদের কোলেপিঠে করে মানুষ করেছি। ২০০৫ সালেআমার স্বামী মারা যায় তখন থেকে তারা আমাকে আলাদা করে দিয়েছে, আমার তিনটি মেয়ে সবার বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট মেয়েটি স্বামী পরিত্যক্তা সে আমার সাথে থাকে। আমার সৎ ছেলে মেয়েরা সব সময় আমাদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে। আমার কোনো অবলম্বন নেই বলে সব সহ্য করে স্বামীর বাড়িতে পড়ে আছি। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে পরিকল্পিত ভাবে শনিবার সকালে সৎ ছেলে মেয়ে ও তাদের আত্মীয়রা আমাকে খুব পিটিয়েছে।
এ বিষয়ে বড় বোন আমেনা বেগম দাবি করেন, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না। মান্নান সরদারকে বাড়িতে পাওয়া যাইনি।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুর নগরকান্দা হতে ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেফতার |
প্রধান অভিযুক্ত আত্মীয় (আমেনা বেগমের মামাতো ভাই) লিয়াকত শেখ জানান, আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত না। আপনার মুখ থেকে প্রথম সুনতে পেলাম। তাদের সাথে আলেয়া বেগমের জমিজমা নিয়ে গোন্ডগোল আছে সেটা আমি জানি। আলেয়া বেগমের সৎ ছেলে মান্নান সরদারের মাথায় একটু সমস্যা আছে মাঝেমধ্যে পাগলামি করে।
ওসি মো.ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট