আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কালুখালী উপজেলার গ্রাম-শহর সরগরম হয়ে উঠছে।
চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন আড্ডায় নির্বাচন নিয়ে নানা আলোচনা ও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই চেয়ারম্যান-মেম্বার পদপ্রার্থীরা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জানা যায়, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে কালুখালী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে একটি ওয়ার্ড গঠিত। যার ওয়ার্ড নং ৫। এ ওয়ার্ডে সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে ৭জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। নির্বাচিত হবেন ১জন। সদস্য পদপ্রার্থীরা হলেন- কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক সদস্য মোঃ খায়রুল ইসলাম, কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা, মদাপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম রোকনুজ্জামান, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইউসুফ হোসেন, মোঃ রাসেল আহম্মেদ ও মোঃ আজিজুল ইসলাম (শাহ আজিজ)।
খায়রুল ইসলামের বাড়ী রতনদিয়া ইউপির তোফাদিয়া গ্রামে, এবিএম রোকনুজ্জামানের বাড়ী মদাপুর ইউপির শিবানন্দপুর গ্রামে, জাকির হোসেন মোল্লার বাড়ী রতনদিয়া ইউপির তোফাদিয়া গ্রামে, রফিকুল ইসলাম বাদশার বাড়ী মৃগী ইউপির হোগলাডাঙ্গী গ্রামে। ইউসুফ হোসেনের বাড়ী মাজবাড়ী ইউপির মোহনপুর গ্রামে, রাসেল আহম্মেদের বাড়ী মাজবাড়ী ইউপির মোহনপুর গ্রামে ও আজিজুল ইসলামের বাড়ী রতনদিয়া ইউপির গংগানন্দপুর গ্রামে। এদের মধ্যে এবিএম রোকনুজ্জামান গত ইউপি নির্বাচনে মদাপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।
ওই নির্বাচনে তিনি সামান্য কিছু ভোট পেয়ে পরাজিত হন বলে জানা গেছে। রফিকুল ইসলাম বাদশা গত ইউপি নির্বাচনে মৃগী ইউনিয়নে চশমা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের শেষ দিকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান। মোঃ ইউসুফ হোসেন গত ইউপি নির্বাচনে মাজবাড়ী ইউনিয়নে নৌকার বিরুদ্ধে আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। রাসেল আহমেদ ইউসুফ হোসেনের পুত্র। পিতা-পুত্র ২জন জেলা পরিষদের সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলাও রয়েছে বলে জানা গেছে। মোঃ আজিজুল ইসলাম রতনদিয়া ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারী থেকে ৬১০ পিস ইয়াবা সহ মাদক সম্রাট নাজমুল ইসলাম রিপন ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার |
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের নির্ধারিত তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ভোট গ্রহণ ১৭ অক্টোবর। ভোটার ও সাধারণ মানুষ মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রত্যাহারের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিচ্ছেন। সর্বশেষ কয়জন ভোটযুদ্ধে থাকবেন তা নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জনসাধারণ ক্লিন ইমেজ, দল ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে সাংগঠনিক নেতৃত্বদানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনকারী প্রার্থীদের চায়। এক্ষেত্রে নতুনদের মধ্যে মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা ও পুরাতনদের মধ্যে মোঃ খায়রুল ইসলামের সম্ভাবনা নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
এদিকে, সদস্য পদে একক প্রার্থী নাকি প্রার্থীতা উন্মুক্ত থাকবে এ ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের পদপদবীতে থাকা প্রার্থীরা।
প্রিন্ট