ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফলো আপ

ঝিনাইদহে নবজাতককে গলা টিপে হত্যর ঘটনায় অবশেষে মামলা, অভিযুক্ত তিনজন কারাগারে

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে সদ্য ভুমিষ্ঠ এক ছেলে শিশুকে গলা টিপে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

বুধবার ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই রিফাত হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার আসামীরা হচ্ছে নবজাতকের মা নুরুন্নাহার খাতুন, নানি কমলা খাতুন ও মায়ের কথিত প্রেমিকা আলিফ আবেদীন গুঞ্জন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (অপারেশন) হরিদাশ রায় জানান, পিতৃত্ব নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে এমন শংকা থেকে মা ও নানির যৌথ ষড়যন্ত্রে শিশুটিকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে। তিনি বলেন, গত সোমবার (১৫ আগষ্ট) রাতে যখন প্রসব বেদনা নিয়ে নুরুন্নহার হাসপাতালে ভর্তি হয় তখন ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে। অভিভাবক হিসেবে মা বলে এক নাম মেয়ে বলে আরেক নাম। এতে হাসপাতালের নার্সদের মাঝে সন্দেহ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ননামতে, বাচ্চাটি জন্ম নেওয়ার পর মা নুরুন্নাহার ও নানি কমলা খাতুন যুক্তি করে নবজাতককে হাসপাতালের একটি গলির মধ্যে নিয়ে হত্যা করে।

আরও পড়ুনঃ শৈলকুপায় শিক্ষক হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৩ জনের ফাঁসির আদেশ

প্রথমে শিশুটির অন্ডকোষ টিপে ধরে গলায় গামছা জাতীয় কিছু পেচিয়ে হত্যা করে আবার হাসপাতাল বেডে আনা হয়। বেডে আনার পর দেখে নবজাতকের সারা শরীরে আঁচড়ের দাগ। পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরছে। গলায় দাগ। খবরটি দ্রুত হাসপাতাল এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতার ভীড় বাড়তে থাকে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বুধবার বিকালে জানান, নার্সদের কাছ থেকে এমন নির্মম খবরটি পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানো হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ফলো আপ

ঝিনাইদহে নবজাতককে গলা টিপে হত্যর ঘটনায় অবশেষে মামলা, অভিযুক্ত তিনজন কারাগারে

আপডেট টাইম : ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
জাহিদুর রহমান তারেক,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ :

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে সদ্য ভুমিষ্ঠ এক ছেলে শিশুকে গলা টিপে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

বুধবার ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই রিফাত হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার আসামীরা হচ্ছে নবজাতকের মা নুরুন্নাহার খাতুন, নানি কমলা খাতুন ও মায়ের কথিত প্রেমিকা আলিফ আবেদীন গুঞ্জন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (অপারেশন) হরিদাশ রায় জানান, পিতৃত্ব নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে এমন শংকা থেকে মা ও নানির যৌথ ষড়যন্ত্রে শিশুটিকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে। তিনি বলেন, গত সোমবার (১৫ আগষ্ট) রাতে যখন প্রসব বেদনা নিয়ে নুরুন্নহার হাসপাতালে ভর্তি হয় তখন ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে। অভিভাবক হিসেবে মা বলে এক নাম মেয়ে বলে আরেক নাম। এতে হাসপাতালের নার্সদের মাঝে সন্দেহ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ননামতে, বাচ্চাটি জন্ম নেওয়ার পর মা নুরুন্নাহার ও নানি কমলা খাতুন যুক্তি করে নবজাতককে হাসপাতালের একটি গলির মধ্যে নিয়ে হত্যা করে।

আরও পড়ুনঃ শৈলকুপায় শিক্ষক হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৩ জনের ফাঁসির আদেশ

প্রথমে শিশুটির অন্ডকোষ টিপে ধরে গলায় গামছা জাতীয় কিছু পেচিয়ে হত্যা করে আবার হাসপাতাল বেডে আনা হয়। বেডে আনার পর দেখে নবজাতকের সারা শরীরে আঁচড়ের দাগ। পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরছে। গলায় দাগ। খবরটি দ্রুত হাসপাতাল এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতার ভীড় বাড়তে থাকে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বুধবার বিকালে জানান, নার্সদের কাছ থেকে এমন নির্মম খবরটি পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানানো হয়।


প্রিন্ট