ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুলশিক্ষক খান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ১ জনকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ নাজিমুদ্দৌলা এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডিতরা হলো-শিতলী গ্রামের মৃত গোলাম কুদ্দুস খাঁন’র ছেলে রান্নু খাঁন, শামছুর রহমান খাঁন ও তার ছেলে জামাল খাঁন, কানু খাঁন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শৈলকুপা উপজেলার শিতলী গ্রামে আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর যখম করে আসামীরা।
সেখান থেকে তাকে প্রথমে শৈলকুপায় উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করা হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী শিউলী খাতুন বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় হত্যা মালা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুনঃ ঝিনাইদহে শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়াঃ নবজাতককে গলা টিপে হত্যার ঘটনায় ৩ জন আটক
দীর্ঘ শুনানী ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত প্রতিবেশী রান্নু খাঁন, জামাল খাঁন ও কানু খাঁনকে মৃত্যুদন্ড ও শামছুর রহমান খাঁনকে আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ দেয়। একই সাথে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসমীদের প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে ও আমৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ মামলায় অপর ৩ জন নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। নিহত আলাউদ্দিনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, আমাদের চোখের সামনেই আমার বাবাকে ওই ৭ জন পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। রায়ে ৩ জন খালাস পাওয়ায় আমার আদালতের প্রতি সম্মান রেখে দুঃখ প্রকাশ করছি।
আরও পড়ুনঃ ঝিনাইদহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই জনকে কুপিয়ে যখম, সদর হাসপাতাল ভর্তি
ওই ৩ জনও শাস্তির আওতায় আনার দরকার। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ইসমাইল হোসেন বাদশা বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে আমরা সন্তষ্ট প্রকাশ করছি। দ্রুত এই রায় কার্যকর যেন হয় সেই আশা করছি।
প্রিন্ট