ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বোয়ালমারীতে দেউলিয়া মিলটির পাশেই নতুন জুটমিল প্রতিষ্ঠিত করেছেন পরিচালনাকারীরা Logo মাগুরায় শত্রুজিৎপুর নূরুল ইসলাম দাখিল মাদরাসায় জালিয়াতি করে চাকরির অভিযোগ Logo মুকসুদপুরে সাংবাদিক হায়দারের কুশপুত্তলিকা দাহ Logo মুকসুদপুরে যুবদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ Logo তানোরে সার চোরাচালানের মহোৎসব! Logo ফরিদপুরে ৫ দিনব্যাপী ৮৬১ ও ৮৬২ তম কাব স্কাউট ইউনিট লিডার বেসিক কোর্স উদ্বোধন Logo রূপগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার Logo বালিয়াকান্দির ‘উকুন খোটা’ স্কুল এখন দেশসেরা হওয়ার অপেক্ষায় Logo তানোরের নারায়নপুর স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান Logo বাঘায় গলা কেটে হত্যা, নিহতের ভাইরা ভাই রায়হান গ্রেপ্তার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরার মৌশা গ্রামে জমির মাটি নিয়ে রামদা দিয়ে মহিলাকে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম

মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের মৌশা গ্রামে ভেকু দিয়ে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে ফিরোজা বেগমকে রামদা দিয়ে মারাত্মক ভাবে মাথার মাঝখানে খুন করার উদ্দেশ্য কোপ দেয় সিরাজ মোল্লা (৫০)। বুধবার ১০ আগস্ট বিকাল ৪ টার সময় মাগুরা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৪১৮ নম্বর রুমে দেখা যায়, বেডে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে ফিরোজা বেগম (৩৫) নামের এক মহিলা।

ফিরোজা বেগমের বাড়ি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মৌশা গ্রামে, তিনি লায়েব মোল্লার স্ত্রী। ঘটনার সত্য বিবৃতিতে ফিরোজা বেগম বলেন, গত মঙ্গলবার ২ আগস্ট অনুমান সকাল ১০ টার সময় আমাদের জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছিলো। তখন কিছু মাটি অপর জমিওয়ালা বাশার মোল্লার জমিতে পড়ে গেলে, জমির মালিক বাশার মোল্লা জোরে চিৎকার করে লায়েব আলী মোল্লা, উজ্জ্বল মোল্লা, সাদ্দাম মোল্লা, রাকিব মোল্লা ও ফিরোজা বেগমকে দ্রুত মাটি সরাতে বলে। তখন ফিরোজা বেগম বাশার কে বলে সকালে আমরা ভাত খায়নি, খেয়ে এসে মাটি সরিয়ে দিচ্ছি।

কিন্তু হঠাৎ করে সিরাজ মোল্লা (৫৮) পিং- ইমানে মোল্লা ১২ থেকে ১৫ জনের সংঘবদ্ধ লাঠিয়াল লোকজন নিয়ে এসেই লায়েব মোল্লার লোকজনের অপর অর্তকিত হামলা চালায়। মারামারি চলার সময়ে লায়েব আলী মোল্লার ছেলে রাকিব মোল্লা (২২) কে কোপ দিতে গেলে নিজের একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে ফিরোজা বেগম ছুটে আসে। তখন রাম দা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্য সিরাজ মোল্লা ফিরোজার ঠিক মাথার মাঝখানে কোপ বসিয়ে দেয়।এই কোপে ফিরোজার মাথায় ১৮ টি সেলাই লেগেছে।

সিরাজ মোল্লার সাথে মারামারির সময় ছিলো, মৌশা গ্রামের নজরুল মোল্লা, নওশের মোল্লা পিং- মছেন মোল্লা, বাসার মোল্লা পিং- মোজাম মোল্লা, আফজাল মোল্লা পিং- আফছার মোল্লা, শরাফত মোল্লা পিং- সিরাজ মোল্লা, কামরুল, শাহাবুদ্দিন  পিং- ছাকা ও রিয়াজুল সহ ১২-১৫ জন দাঙ্গাবাজ ব্যক্তি। তাদের প্রত্যোকের হাতে লাঠি, রড ও কয়েকজনের হাতে রামদা ছিলো।

ফিরোজা বেগম আরও জানায়, সামান্য মাটি  নিয়ে আমাদের সবাইকে হত্যা করার উদ্দেশ্য এসে ছিলো দাঙ্গাবাজ লোকজন গণ। মারামারির এ বিষয়ে ছোট কলমধারী দাখিল মাদরাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক জানান, গত সপ্তাহে মাটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে শুনছি, তবে রামদা দিয়ে মহিলাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম কে করেছে এটা জানি না।

আরও পড়ুনঃ আদ্রা আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন দুর্নীতি ঢাকতে ভূয়া ও স্বজনপ্রীতি কমিটি গঠন

রামদা দিয়ে ফিরোজা বেগমকে মাথায় কুপিয়ে জখম এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে মুঠোফোনে সিরাজ মোল্লা বলেন, আমার বয়স ৫৮ বছর আমি মাঠ থেকে শুনলাম মারামারি হচ্ছে তাই দ্রুত ছুটে যায় মারামারি ঠেকানোর জন্য। তার কাছে রামদা দিয়ে মহিলাকে কুপিয়ে জখম করেছে এ বিষয় তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি রামদা দিয়ে ফিরোজা বেগমকে মাথায় কুপায়নি আমি তো মারামারি ঠেকানোর জন্য গিয়ে ছিলাম।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালমারীতে দেউলিয়া মিলটির পাশেই নতুন জুটমিল প্রতিষ্ঠিত করেছেন পরিচালনাকারীরা

error: Content is protected !!

মাগুরার মৌশা গ্রামে জমির মাটি নিয়ে রামদা দিয়ে মহিলাকে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম

আপডেট টাইম : ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২
ফারুক আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরাঃ :

মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের মৌশা গ্রামে ভেকু দিয়ে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে ফিরোজা বেগমকে রামদা দিয়ে মারাত্মক ভাবে মাথার মাঝখানে খুন করার উদ্দেশ্য কোপ দেয় সিরাজ মোল্লা (৫০)। বুধবার ১০ আগস্ট বিকাল ৪ টার সময় মাগুরা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৪১৮ নম্বর রুমে দেখা যায়, বেডে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে ফিরোজা বেগম (৩৫) নামের এক মহিলা।

ফিরোজা বেগমের বাড়ি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মৌশা গ্রামে, তিনি লায়েব মোল্লার স্ত্রী। ঘটনার সত্য বিবৃতিতে ফিরোজা বেগম বলেন, গত মঙ্গলবার ২ আগস্ট অনুমান সকাল ১০ টার সময় আমাদের জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছিলো। তখন কিছু মাটি অপর জমিওয়ালা বাশার মোল্লার জমিতে পড়ে গেলে, জমির মালিক বাশার মোল্লা জোরে চিৎকার করে লায়েব আলী মোল্লা, উজ্জ্বল মোল্লা, সাদ্দাম মোল্লা, রাকিব মোল্লা ও ফিরোজা বেগমকে দ্রুত মাটি সরাতে বলে। তখন ফিরোজা বেগম বাশার কে বলে সকালে আমরা ভাত খায়নি, খেয়ে এসে মাটি সরিয়ে দিচ্ছি।

কিন্তু হঠাৎ করে সিরাজ মোল্লা (৫৮) পিং- ইমানে মোল্লা ১২ থেকে ১৫ জনের সংঘবদ্ধ লাঠিয়াল লোকজন নিয়ে এসেই লায়েব মোল্লার লোকজনের অপর অর্তকিত হামলা চালায়। মারামারি চলার সময়ে লায়েব আলী মোল্লার ছেলে রাকিব মোল্লা (২২) কে কোপ দিতে গেলে নিজের একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে ফিরোজা বেগম ছুটে আসে। তখন রাম দা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্য সিরাজ মোল্লা ফিরোজার ঠিক মাথার মাঝখানে কোপ বসিয়ে দেয়।এই কোপে ফিরোজার মাথায় ১৮ টি সেলাই লেগেছে।

সিরাজ মোল্লার সাথে মারামারির সময় ছিলো, মৌশা গ্রামের নজরুল মোল্লা, নওশের মোল্লা পিং- মছেন মোল্লা, বাসার মোল্লা পিং- মোজাম মোল্লা, আফজাল মোল্লা পিং- আফছার মোল্লা, শরাফত মোল্লা পিং- সিরাজ মোল্লা, কামরুল, শাহাবুদ্দিন  পিং- ছাকা ও রিয়াজুল সহ ১২-১৫ জন দাঙ্গাবাজ ব্যক্তি। তাদের প্রত্যোকের হাতে লাঠি, রড ও কয়েকজনের হাতে রামদা ছিলো।

ফিরোজা বেগম আরও জানায়, সামান্য মাটি  নিয়ে আমাদের সবাইকে হত্যা করার উদ্দেশ্য এসে ছিলো দাঙ্গাবাজ লোকজন গণ। মারামারির এ বিষয়ে ছোট কলমধারী দাখিল মাদরাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক জানান, গত সপ্তাহে মাটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে শুনছি, তবে রামদা দিয়ে মহিলাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম কে করেছে এটা জানি না।

আরও পড়ুনঃ আদ্রা আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন দুর্নীতি ঢাকতে ভূয়া ও স্বজনপ্রীতি কমিটি গঠন

রামদা দিয়ে ফিরোজা বেগমকে মাথায় কুপিয়ে জখম এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে মুঠোফোনে সিরাজ মোল্লা বলেন, আমার বয়স ৫৮ বছর আমি মাঠ থেকে শুনলাম মারামারি হচ্ছে তাই দ্রুত ছুটে যায় মারামারি ঠেকানোর জন্য। তার কাছে রামদা দিয়ে মহিলাকে কুপিয়ে জখম করেছে এ বিষয় তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি রামদা দিয়ে ফিরোজা বেগমকে মাথায় কুপায়নি আমি তো মারামারি ঠেকানোর জন্য গিয়ে ছিলাম।


প্রিন্ট