মাগুরা সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের শিয়ালজুড়ি গ্রামে মানুষের উপর শত্রুতাবসত ছাগলের উপর হামলা চালিয়ে শিং ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে।
ইয়াদ আলী অভিযোগে জানান, আব্দুল হক পুলিশ সদস্যর স্ত্রী আছিয়া খাতুন সীমা বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে লাগানো ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাগলের শিং ভেঙ্গে রক্তাত্ব করেছে। সীমা শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকার প্রভাবশালীর মেয়ে ও শিয়ালজুড়ি গ্রামের পুলিশ সদস্যর স্ত্রী হওয়ায় এলাকার গন্যমান্য কাউকে মানেনা। সে গ্রামের নিরিহ মানুষের সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া বাঁধলে পুলিশ দিয়ে বিভিন্ন সময় হয়রানী করেন।
এ বিষয়ে সাবেক মেম্বার সিরাজুল ইসলাম জানান, আব্দুল হক পুলিশের স্ত্রী সীমা খাতুন দুর্দান্ত মহিলা সামান্য ঘাস খাওয়ার বিষয় নিয়ে শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দিয়েছে সে কিনা করতে পারে? সে কাউকে মানেনা বলে জানান।
এদিকে শিয়ালজুড়ির ছাগল মালিক ইয়াদ আলী বলেন, সরকারি রাস্তার সীমানায় সীমা ও পুলিশ সদস্য হক আমাদের সাথে ঝগড়া ও বিবাদ করার জন্য নেপিয়ার ঘাস জমির এক পাশে লাগিয়েছে। এখন ঘাসের মধ্যে আমাদের ছাগল ও হাঁস-মুরগি গেলে সেগুলোকে হত্যার উদ্দেশ্য লাঠি ও কাচি দিয়ে বেদম প্রহার করছে, সম্প্রতি আমার ছাগল ঘাসের মধ্যে ঢুকলে সীমা মারধর করে শিং ভেঙ্গে রক্ত বের করে দিয়েছে; এ ঘটনায় আমি আইন প্রশাসনের সঠিক বিচার চাই।
সীমা খাতুনের কাছে এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন, ছাগলকে মারধর করার সব বিষয় অস্বীকার করেন এবং তিনি সবশেষে বলেন আমি বিষয়টি লিখিত ভাবে শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাড়িতে অভিযোগ জানিয়েছি।
প্রিন্ট