নওগাঁর আত্রাইয়ে নদ নদী ও খাল বীলে পানি বারতে শুরু করেছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নৌকা বানানোর ধুম পড়েছে। একে ঘিরে ব্যাস্ত সময় পার করছে কারীগরেরা। নতুন নৌকা তৈরীর পাশাপাশি চলছে পুরাতন নৌকা মেরামতের কাজও।
আত্রাই উপজেলার হাট-কালুপাড়া ইউনিয়নের অন্তরগত বান্দাইখারা, নন্দনালী ও কচুয়াগ্রামে নৌকা তৈরীর ধুম পড়েছে। সেখানে গেলেই শোনা যায় হাতুড়ী বাটালের খটখট শব্দ। এই গ্রামে দল বেধে কাজ করে কারীগরেরা।
আত্রাই নদী, ছোট যমুনা ওনাগর নদীর তীরবর্তী আত্রাই উপজেলা। বর্ষা মৌসুমে এখানকার অন্তত ৬ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ জনপদ পানিতে ডুবে যায়; ডুবে যায় রাস্তা ঘাটও। ফলে যাতায়াত করতে হয় নৌকায়।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত মদপানে মৃত্যু
বর্ষার সময় মাছধরারও ধুম পড়ে যায়। মৎস্যজীবিরা এ কাজে ব্যাবহার করে ছোট বড় নানা ধরনের নৌকা। তাই মৌসুম এলেই এখানে বেড়ে যায় নৌকার কদর। আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নৌকা তৈরীতে ব্যাস্ততা বেড়েছে কারীগরদের। কালীকাপুড় গ্রামের নৌকা তৈরীর কারীগর গোপাল, বিশু, রহিম, কালীদাশ ও খেদু বলেন ৯ হাত লোম্বা নৌকা তৈরী করতে ৩০৫০ থেকে ৫০০০হাজার টাকা খরচ হয়। আর বিক্রি হয় ৬ থেকে ৭হাজার টাকা এবং ১২ হাত নৌকা তৈরী করতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বিক্রি হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়।
প্রিন্ট