ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরার মহম্মদপুরে শতবর্ষী মেলা ও গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামে  মঙ্গলবার বিকেলে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ মেলা ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা প্রতি বছর  বাংলা পৌষ মাসের ২৮ তারিখে বসে।
খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ এ মেলাকে ঘিরে উৎসব আমেজে মেতে ওঠে এলাকার প্রায়  ৫০টি গ্রামের সকল বয়াসের মানুষ। এ মেলায় মাছ-মাংশ, মিষ্টির দোকানসহ  ফার্ণিচার, বাঁশ, বেত ও মৃৎশিল্পিদের তৈরী নানা রকম খেলনা ও প্রসাধনীর স্টল  বসেছে প্রায় তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
১০০ বছরেরও বেশী সময় ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী মেলার মূল আকর্ষণ ঘোড়দৌড়  প্রতিযোগিতা, নাগরদোলা, পুতুল নাচ, যাদু ও কমিডিয়ান শিল্পিদের উপস্থিতি।  তবে শিশু- কিশোর, ছেলে-বুড়ো, নারীসহ সব শ্রেনি পেশার মানুষের একটাই  উদ্দেশ্য গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করা।
তাই দূরদূরান্ত থেকে আসা নানা শ্রেনিপেশার মানুষ মাঠের মধ্যে রাস্তার  পাশে এক কাতারে সামিল হয়েছে দুচোখ ভরে ঐতিহ্যবাহী সেই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা  উপভোগ করবে বলে। প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে  প্রায় ২৫ টি ঘোড়া আনা হয়। দুপুর ৩ ঘটিকায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শুরুর  আগমুহুর্তে ঘোড়ার মালিক, ফকির ও ছোয়ার (জকি) ঘোড়াকে তার পথপরিক্রমা দেখাতে  ব্যাস্ত।
এরপর শুরু হয় কাঙ্খিত সেই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। শীতের বিকালে মিস্টি রোদে অন্যরকম এক আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে লাখও দর্শক।
মেলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাঁন জাহাঙ্গীর  আলম বাচ্চু জানান, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা দেখতে অশপাশের কয়েক জেলার  সকল শ্রেনিপেশার লাখো মানুষের আগমণ ঘটে। সকলের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে  মেলা শেষ হয়। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে সভাপতিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য  ব্যক্তিবর্গ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলেদেন।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মাগুরার মহম্মদপুরে শতবর্ষী মেলা ও গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ১১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১
উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামে  মঙ্গলবার বিকেলে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ মেলা ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা প্রতি বছর  বাংলা পৌষ মাসের ২৮ তারিখে বসে।
খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ এ মেলাকে ঘিরে উৎসব আমেজে মেতে ওঠে এলাকার প্রায়  ৫০টি গ্রামের সকল বয়াসের মানুষ। এ মেলায় মাছ-মাংশ, মিষ্টির দোকানসহ  ফার্ণিচার, বাঁশ, বেত ও মৃৎশিল্পিদের তৈরী নানা রকম খেলনা ও প্রসাধনীর স্টল  বসেছে প্রায় তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
১০০ বছরেরও বেশী সময় ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী মেলার মূল আকর্ষণ ঘোড়দৌড়  প্রতিযোগিতা, নাগরদোলা, পুতুল নাচ, যাদু ও কমিডিয়ান শিল্পিদের উপস্থিতি।  তবে শিশু- কিশোর, ছেলে-বুড়ো, নারীসহ সব শ্রেনি পেশার মানুষের একটাই  উদ্দেশ্য গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করা।
তাই দূরদূরান্ত থেকে আসা নানা শ্রেনিপেশার মানুষ মাঠের মধ্যে রাস্তার  পাশে এক কাতারে সামিল হয়েছে দুচোখ ভরে ঐতিহ্যবাহী সেই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা  উপভোগ করবে বলে। প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে  প্রায় ২৫ টি ঘোড়া আনা হয়। দুপুর ৩ ঘটিকায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শুরুর  আগমুহুর্তে ঘোড়ার মালিক, ফকির ও ছোয়ার (জকি) ঘোড়াকে তার পথপরিক্রমা দেখাতে  ব্যাস্ত।
এরপর শুরু হয় কাঙ্খিত সেই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। শীতের বিকালে মিস্টি রোদে অন্যরকম এক আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে লাখও দর্শক।
মেলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খাঁন জাহাঙ্গীর  আলম বাচ্চু জানান, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা দেখতে অশপাশের কয়েক জেলার  সকল শ্রেনিপেশার লাখো মানুষের আগমণ ঘটে। সকলের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে  মেলা শেষ হয়। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে সভাপতিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য  ব্যক্তিবর্গ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলেদেন।