কুষ্টিয়ার খোকসায় কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের খোকসা বাসস্ট্যান্ডে দ্রুতগতিসম্পন্ন ঘাতক ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভ্যানচালক ইমরান (২৫)এর মৃত্যু। ৩ জন আহত হয়েছে। নিহত ইমরান বি- মির্জাপুর গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে। ঘাতক ট্রাকটি আটক করেছে পুলিশ। তবে গাড়ির চালক পলাতক রয়েছে। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট বীভৎস লাশ শনাক্ত করেন হতভাগ্য ভ্যানচালক ইমরানের পিতা মইন উদ্দিন। আহত তিন জন হলেন পৌরসভার কমলাপুর গ্রামের নুরজাহান বেগম (৫০), রত্না বিশ্বাস (৩৫) ও রেখা রানী (৩০)।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী থেকে আসা বালি বোঝায় দ্রুতগতিসম্পন্ন ঘাতক ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-২০-৩৪২২) বৃহস্পতিবার দুপুরে খোকসা বাসস্ট্যান্ডে ব্যাটারিচালিত পাখি ভ্যান এর পিছে স্বজোরে ধাক্কা দিলে ট্রাকের সামনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভ্যানচালক ইমরান সেখ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ভ্যানে থাকা ৩ আরোহীর নুরজাহান বেগম নামের এর মহিলার বাম পা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অপর দুই যাত্রী রত্না বিশ্বাস ও রেখা রানী কে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে গেছেন বলে জানাগেছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার রমা মুখার্জি জানান, গুরুতর আহত নুরজাহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আহত নুরজাহান বেগম আশঙ্কামুক্ত নয়। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের খোকসা বাসস্ট্যান্ডে ভ্যানচালকের ঘটনাস্থলে মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর শ্রমিক লীগ ও সাধারণ জনতার বাস স্ট্যান্ড ট্রাফিক আইন তৈরি করার জন্য জোর দাবি তোলে। প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোঃ আশিকুর রহমান এর উপস্থিতিতে আলোচনা সাপেক্ষ সমাধান করার আশ্বাসে মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে স্থানীয় জনতা ।
ঘটনাস্থল থেকে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের এসআই মতিউর রহমান ঘাতক ট্রাক টি আটক ও নিহত ভ্যানচালক ইমরানের লাশ উদ্ধার করে খোকসা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে দুপুর ৩ টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
“খোকসা বাসস্ট্যান্ডের আরেক নাম মরণ ফাঁদ “এই শিরোনামে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষ কিছুটা নড়েচড়ে বসলেও ত্রিভুজটি সংস্কারের জন্য আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত আশ্বাসের বাণী থেকেই গেছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কোন অদৃশ্যের কারণে কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ী মহাসড়কে খোকসা বাসস্ট্যান্ডটি জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ত্রিভুজ গুলো নির্মাণ হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চারদিকে ত্রিভুজটি করায় রাস্তা স্বল্পতা কমে যাওয়ায় আরো জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে। ফলে খোকসা বাসস্ট্যান্ডে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এমনকি খোকসা বাসস্ট্যান্ডের মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা কেড়ে নিচ্ছে তরতাজা প্রাণ।
স্থানীয়রা আরো বলেন বাসস্ট্যান্ড এর চারপাশে এলোমেলোভাবে অটো বাইক, মাহিন্দ্র, বাস-সিএনজি পার্কিং করার কারণে দুর্ঘটনা মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে একাধিকবার বিষয়টি অবগত করলেও এর কোনো সুরাহা মিলেনি।
প্রিন্ট