ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক কিশোরীর হাত মুখ বেধে জোরপূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরযশোরদি ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামে। ৪ জুন শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে ঐ দিন রাতেই নগরকান্দা থানায় তিন যুবকের নামে অভিযোগ দিয়েছেন।
জানাগেছে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় তিন যুবক কিশোরীর হাত-মুখ বেধে বাড়ীর পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে জোর পূর্বক গণ-ধর্ষণ করে বলে কিশোরী জানায়। পরে পরিবার ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, চরযশোরদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান পথিক তালুকদারের আপন ছোট ভাই পলাশ তালুকদারের শ্যালক দহিসারা গ্রামের ইলিয়াস মোল্যার ছেলে নাফিজ মোল্যা (২০), দেলোয়ার মোল্যার ছেলে শাওন মোল্যা (১৮), ও একই গ্রামের ওয়াদুদ মুন্সীর নাতি ও পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার বল্লভদী গ্রামের মন্টু মোল্যার ছেলে সাগর মোল্যা (২০)। এই তিন যুবক এই কিশোরীকে কিছু দিন ধরে নানা ভাবে বিরক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তাদের কু- প্রস্তাবে রাজি না হলে এক পর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি পাটক্ষেতে হাত – মুখ বেঁধে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুনঃ মধুখালীতে রোভিং সেমিনার অনুষ্ঠিত
এ ঘটনার অভিযুক্তদের বিচার দাবী করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
নাফিজ মোল্যার দুলাভাই পলাশ তালুকদার বলেন, আমার ভাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছিলেন। গত নির্বাচনে ভাই হেরে গেছে। আমাদেও প্রতিদন্ধী প্রার্থীরা আমাদেও পরিবার ও আতœীয় স্বজনদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এ ঘটনায় আমার শ্যালক কোন ভাবে জড়িত নেই।
থানা অফিসার ইনচার্জ হাবিল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ও তার পরিবার ঐ রাতে থানায় এসে বিষয়টি আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে। মেয়েটি এখন ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নগরকান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সুমিনুর রহমান বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেনো পুলিশ তাদের আইনের আওতায় আনবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কেউ ছাড় পাবে না।
প্রিন্ট