ফরিদপুরের নগরকান্দায় স্কুলে যেতে বিলম্ব হওয়ায় তিন শিক্ষার্থীকে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষকদের উপর। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার (২১ মে) উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের গোড়াইল সয়ফুন্নেছা রব্বানী জুনিয়ার হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে স্কুলের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিয়াজুল, মামুন ও মাহিম বিলম্বে স্কুলে আসায় শিক্ষক নাজমূল ইসলাম তাদেরকে জোড়া বেত দিয়ে প্রহার করে। অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের কেন মারপিট করা হয়েছে এর বিচার দাবী করেন। এতে শিক্ষক ক্ষীপ্ত হয়ে তার নিজ গ্রামের সিরাজ শরীফের ছেলে নাজিম শরীফকে ফোনে স্কুলে ডেকে নেয়। নাজিম শরীফ স্কুলে এসে ঐ তিন শিক্ষার্থীকে পূনরায় মারপিট করে। এতে অভিভাবকেরা আরো ক্ষুব্ধ হয়। এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম জানায়, সকাল ১০টায় স্কুলে গিয়ে দেখে স্কুলে তালা ঝুলছে। তাই তারা বাড়ী চলে গেছে। পরে ১১ টার দিকে পূনরায় স্কুলে গেলে দেখে স্কুল খুলেছে। তখন শিক্ষক নাজমূল তাদের বলে তোদের এতো দেরি হলো কেন এই বলে জোড়া বেত দিয়ে মারতে শুরু করে। পরে নাজিম এসে বলে তোরা স্যারের সাথে বেয়াদবি করছিস কেন এই বলে আবারো মারপিট করে।
আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ সৎ মায়ের বিরুদ্ধে
অভিভাবক মিনারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ছাত্ররা যদি বেয়াদবি করে তা হলে শিক্ষক তাদের মারপিট করবে। কিন্তু শিক্ষক নাজমূল কেন বহিরাগত একজনকে এনে তাকে দিয়ে ছাত্রদের মারপিট করাবে? আমরা এর বিচার চাই।
শিক্ষক নাজমূল ইসলাম বলেন, ওরা ক্লাসে বেয়াদবি করে সে জন্য আমি ওদের একটু মারতে গেছি। তখন মাহিম আমার শার্টের কলার ধরে আমাকে মারতে উদ্যোত হয়। তখন নাজিম এসে এই অবস্থা দেখে ওদের মারপিট করেছে। আমি নাজিমকে সংবাদ দিয়ে আনিনি।
নাজিম পলাতক থাকায় তার সাথে কথা বলা হয়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, আমি বিদ্যালয়ের কাজে ঢাকায় ছিলাম। যে ঘটনা হয়েছে সেটা আমরা স্থাণীয় ভাবে মিমাংসা করতেছি।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাবীবুর রহমান রব্বানী ঢাকায় অবস্থান করায় তার ঊক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
প্রিন্ট