ফরিদপুরের পাশ্ববর্তী দুই উপজেলার দুগ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০জন আহত ও ১জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের সাথে বোয়ালমারী উপজেলার রুপপাত ইউনিয়নে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ১০টি দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার রূপপাত ব্রাহ্মণডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে সালথা উপজেলার যদুনন্দী গ্রামের কাইয়ুম মোল্লার সাথে বোয়ালমারী উপজেলার রূপপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে রিবোধ চলে আসছিল।
এরই জের ধরে গতকাল বুধবার বিকালে কাইয়ুম মোল্লার সমর্থক ইলিয়াস মোল্লা ও সিরাজ মোল্লার ছেলে রুপপাত উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে গেলে সোনা মিয়ার সমর্থকেরা তাদের আটকিয়ে রাখে। এই খবর এলাকায় মুহুর্তে ছড়িয়ে পোড়লে উভয় গ্রুপের শতশত লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, ভেলা, শরকি, টেটা ও ইটের টুকরো নিয়ে যদুনন্দী বাজার ও রুপপাত বাজারের সীমানাবর্তী ব্রিজের দুইপাশে জড়ো হয়। একপর্যায় তারা রাতেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের দেশীয় এই অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে চলে কয়েক ঘন্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরে এ সংঘর্ষে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অংশ নেয়। সংঘর্ষের সময় ১০টি দোকানঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে উত্তেজিত সংঘর্ষকারীরা। এ সময় দুইএলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
আরও পড়ুনঃ হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা
খবর পেয়ে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে ও হামলায় সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়। নিহত যদুনন্দী গ্রামের মৃত হাতেম ফকিরের ছেলে নান্নু ফকির (৬৫)। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মোকসেদপুর ও বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শেখ সাদিককে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মোঃ সুমিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের সময় ইটের আঘাতে নান্নু ফকির নামে একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রিন্ট