ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দৌলতপুর সীমান্তে উদ্ধার ভূখণ্ডে সীমান্ত পিলার স্থাপন করবে বিজিবি Logo শিশু তাহমিদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ Logo যশোরে সজাগ’র কম্বল বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহী জেলা ছাত্রদল নেতার পিতা বাচ্চু সরকারের দাফন সম্পন্ন Logo লালপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo হাতিয়ায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন Logo পাংশায় ডায়াগনস্টিক এন্ড ক্লিনিক এ্যাসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা Logo বাংলাদেশ ও ঘানার জন্য আইএইচডিএফ গ্লোবাল মেডিকেল ক্যাম্প ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা Logo বোয়ালমারীতে অরক্ষিত রেলক্রসিং ট্রেনের ধাক্কায় নছিমন চালক নিহত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রায়ে সন্তোষ্ট আবরারের পরিবার

কুষ্টিয়ার আবরারের মা-ভাই রায়ের দ্রুত কার্যকর চায়

বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় দেওয়া আদালতে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন এবং ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) আদালতের রায় শোনার পরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাসায় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন সন্তোষের কথা জানান।রোকেয়া খাতুন বলেন, আদলত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি করছি।

তিনি আরও  বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম প্রত্যেক আসামির সবোর্চ্চ শাস্তি ফাঁসি। যে ২০ জনকে আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন এতে আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সেই সঙ্গে অমীত সাহার ফাঁসি চাই। যেদিন এ রায় কার্যকর হবে সেদিন আমরা ভাববো, আমরা বিচার পেয়েছি।

আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে এখনো আমরা রায় পুরোটা দেখিনি। সেটা পর্যালচনা করে পরে জানাতে পারবো যে এ রায় নিয়ে পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ আমরা নিবো।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা।

২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই এ হত্যা মামলায় ২০ জনকে ফাঁসি এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

দৌলতপুর সীমান্তে উদ্ধার ভূখণ্ডে সীমান্ত পিলার স্থাপন করবে বিজিবি

error: Content is protected !!

রায়ে সন্তোষ্ট আবরারের পরিবার

কুষ্টিয়ার আবরারের মা-ভাই রায়ের দ্রুত কার্যকর চায়

আপডেট টাইম : ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ :

বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় দেওয়া আদালতে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন এবং ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) আদালতের রায় শোনার পরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাসায় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন সন্তোষের কথা জানান।রোকেয়া খাতুন বলেন, আদলত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি করছি।

তিনি আরও  বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম প্রত্যেক আসামির সবোর্চ্চ শাস্তি ফাঁসি। যে ২০ জনকে আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন এতে আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সেই সঙ্গে অমীত সাহার ফাঁসি চাই। যেদিন এ রায় কার্যকর হবে সেদিন আমরা ভাববো, আমরা বিচার পেয়েছি।

আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে এখনো আমরা রায় পুরোটা দেখিনি। সেটা পর্যালচনা করে পরে জানাতে পারবো যে এ রায় নিয়ে পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ আমরা নিবো।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা।

২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই এ হত্যা মামলায় ২০ জনকে ফাঁসি এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।


প্রিন্ট