ঢাকা , বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে প্রাইভেট স্কুল সমন্বয়ে পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনার ছাত্র-ছাত্রী নিহত ও আহাতের ঘটনায় বেনাপোলের কাগজপুকুর বাজারে দোয়া মাহফিল Logo লালপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় প্রধান আসামি আটক Logo কুষ্টিয়ায় এক বছরে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য উদ্ধার Logo মাদক প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা ও বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ Logo নওগাঁ-১ আসনে বিএনপির তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে ডা, ছালেক চৌধুরী Logo মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রী নিহতে বিএনপির মিলাদ ও দোয়া Logo লালপুরে কালিমন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর দুর্বৃত্তদের Logo পাংশায় সুবিধাভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে হাঁস ও খাদ্য উপকরণ বিতরণ Logo তানোরে লটারীর মাধ্যমে ২টি পৌরসভায় ওএমএস ডিলার নিয়োগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রায়ে সন্তোষ্ট আবরারের পরিবার

কুষ্টিয়ার আবরারের মা-ভাই রায়ের দ্রুত কার্যকর চায়

বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় দেওয়া আদালতে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন এবং ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) আদালতের রায় শোনার পরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাসায় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন সন্তোষের কথা জানান।রোকেয়া খাতুন বলেন, আদলত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি করছি।

তিনি আরও  বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম প্রত্যেক আসামির সবোর্চ্চ শাস্তি ফাঁসি। যে ২০ জনকে আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন এতে আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সেই সঙ্গে অমীত সাহার ফাঁসি চাই। যেদিন এ রায় কার্যকর হবে সেদিন আমরা ভাববো, আমরা বিচার পেয়েছি।

আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে এখনো আমরা রায় পুরোটা দেখিনি। সেটা পর্যালচনা করে পরে জানাতে পারবো যে এ রায় নিয়ে পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ আমরা নিবো।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা।

২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই এ হত্যা মামলায় ২০ জনকে ফাঁসি এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে প্রাইভেট স্কুল সমন্বয়ে পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

error: Content is protected !!

রায়ে সন্তোষ্ট আবরারের পরিবার

কুষ্টিয়ার আবরারের মা-ভাই রায়ের দ্রুত কার্যকর চায়

আপডেট টাইম : ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ :

বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় দেওয়া আদালতে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন এবং ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) আদালতের রায় শোনার পরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাসায় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন সন্তোষের কথা জানান।রোকেয়া খাতুন বলেন, আদলত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি করছি।

তিনি আরও  বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম প্রত্যেক আসামির সবোর্চ্চ শাস্তি ফাঁসি। যে ২০ জনকে আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন এতে আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সেই সঙ্গে অমীত সাহার ফাঁসি চাই। যেদিন এ রায় কার্যকর হবে সেদিন আমরা ভাববো, আমরা বিচার পেয়েছি।

আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে এখনো আমরা রায় পুরোটা দেখিনি। সেটা পর্যালচনা করে পরে জানাতে পারবো যে এ রায় নিয়ে পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ আমরা নিবো।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা।

২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই এ হত্যা মামলায় ২০ জনকে ফাঁসি এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।


প্রিন্ট