ঢাকা , রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ঢাকায় গণফোরাম এর ৬ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল 

ঢাকায় গণফোরাম এর ৬ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল ২০২১ এর বর্ণাঢ্য ভাবে আয়োজন। শুক্রবার ৩ ডিসেম্বর  সকাল ১০ টার সময় ঢাকা  ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তলোন এবং শান্তির প্রতিক সাদা কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তলোন করেন অধ্যাপক ডঃ আবু সাইয়িদ ও দলীয় পতাকা উত্তলোন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, অনেক বাধা বিগ্ন ও প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে আজকের এই জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা এই সুন্দর সময়ের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। গণফোরাম যখনি সংগঠিত হয়ে দেশবাসী তথা সাধারণ মানুষের দাবী নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখনি অদৃশ্যভাবে বাঁধার সম্মোখিন হয়েছি।
আজ সমস্ত বাধা অবরোধ ছিন্নকরে গণফোরাম নতুন প্রত্তয়ে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিবে। কাউন্সিলে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ডঃ কামাল হোসেন তার বিশেষ দূত ও চিঠির মাধ্যমে এই কাউন্সিলের সাফল্য কামনা করেছেন। তিনি গুরুতর অসুস্থতার কারনে কাউন্সিলে উপস্থিত থাকতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দলীয় ঐক্য সুদৃঢ় করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহবান জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। আইনের শাসন ও সমাজের সর্বস্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আগামী দিনে ছাত্র, যুব, কৃষক, শ্রমিক, মহিলাদের বিভিন্ন দাবী নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলবো। চলমান এই সংকট কাটিয়ে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সমমনা অন্যান্য বিরোধী দলের সাথে জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলবো।
কাউন্সিলে সারাদেশের ৫২ টি জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। কাউন্সিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুধিজনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি ডঃ জাফর উল্লাহ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি আসম আব্দুর রব, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর দিলারা জামান, সাইফুল হক, মনিরুল হক মনির, তানিয়া রব, আব্দুছ ছালাম, শাহ আহমেদ বাদল। গণফোরামের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এ্যাডভোকেট মোহসীন রশিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আইয়ুব খান ফারুক। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডঃ আবু সাইয়িদ বলেন, দেশ আজ চরম ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। জাতির ইতিহাসে রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনে এমন অব্যবস্থাপনা কখনো পরিলক্ষিত হয়নি। এই অবস্থা থেকে দেশ ও জাতি মুক্তি চায়। শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন চায়। সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির সাথে যুক্ত।রাষ্ট্রীয় অর্থ ও সম্পদ লুন্ঠন করে নিচ্ছে মুষ্টিমেয় কিছু লুটেরা। আমরা এই অবস্থা চলতে দিতে পারিনা। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে এই সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য, আন্দোলন সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হবো।
এছাড়াও বক্তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন ও মুক্তির জন্য দ্রুত কাজ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। বিকাল ৩ টার সময় কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও অর্থবিষয়ক রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা নেতারা আলোচনা করেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

error: Content is protected !!

ঢাকায় গণফোরাম এর ৬ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল 

আপডেট টাইম : ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২১
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক রিপোর্টঃ :
ঢাকায় গণফোরাম এর ৬ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল ২০২১ এর বর্ণাঢ্য ভাবে আয়োজন। শুক্রবার ৩ ডিসেম্বর  সকাল ১০ টার সময় ঢাকা  ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তলোন এবং শান্তির প্রতিক সাদা কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তলোন করেন অধ্যাপক ডঃ আবু সাইয়িদ ও দলীয় পতাকা উত্তলোন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, অনেক বাধা বিগ্ন ও প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে আজকের এই জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা এই সুন্দর সময়ের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। গণফোরাম যখনি সংগঠিত হয়ে দেশবাসী তথা সাধারণ মানুষের দাবী নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখনি অদৃশ্যভাবে বাঁধার সম্মোখিন হয়েছি।
আজ সমস্ত বাধা অবরোধ ছিন্নকরে গণফোরাম নতুন প্রত্তয়ে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিবে। কাউন্সিলে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ডঃ কামাল হোসেন তার বিশেষ দূত ও চিঠির মাধ্যমে এই কাউন্সিলের সাফল্য কামনা করেছেন। তিনি গুরুতর অসুস্থতার কারনে কাউন্সিলে উপস্থিত থাকতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দলীয় ঐক্য সুদৃঢ় করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহবান জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। আইনের শাসন ও সমাজের সর্বস্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আগামী দিনে ছাত্র, যুব, কৃষক, শ্রমিক, মহিলাদের বিভিন্ন দাবী নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলবো। চলমান এই সংকট কাটিয়ে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সমমনা অন্যান্য বিরোধী দলের সাথে জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলবো।
কাউন্সিলে সারাদেশের ৫২ টি জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। কাউন্সিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুধিজনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি ডঃ জাফর উল্লাহ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি আসম আব্দুর রব, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর দিলারা জামান, সাইফুল হক, মনিরুল হক মনির, তানিয়া রব, আব্দুছ ছালাম, শাহ আহমেদ বাদল। গণফোরামের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এ্যাডভোকেট মোহসীন রশিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আইয়ুব খান ফারুক। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডঃ আবু সাইয়িদ বলেন, দেশ আজ চরম ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। জাতির ইতিহাসে রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনে এমন অব্যবস্থাপনা কখনো পরিলক্ষিত হয়নি। এই অবস্থা থেকে দেশ ও জাতি মুক্তি চায়। শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন চায়। সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির সাথে যুক্ত।রাষ্ট্রীয় অর্থ ও সম্পদ লুন্ঠন করে নিচ্ছে মুষ্টিমেয় কিছু লুটেরা। আমরা এই অবস্থা চলতে দিতে পারিনা। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে এই সরকারের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য, আন্দোলন সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হবো।
এছাড়াও বক্তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন ও মুক্তির জন্য দ্রুত কাজ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। বিকাল ৩ টার সময় কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও অর্থবিষয়ক রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা নেতারা আলোচনা করেন।

প্রিন্ট