গত ১১ নভেম্বর দ্বীতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ৮নং বল্লভদী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে বাউসখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার এ বিএম মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিয়োগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর পেস করেন ওই ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী মো: সেন্টু শেখ।
সেন্টু শেখ টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে মেম্বার পদে প্রতিদদ্ধীতা করছিলেন ওই ওয়ার্ডে । তিনি তার অভিযোগে লিখেছেন, সারাদিন ভোট গ্রহন শেষে,ও গননা শেষে করে ফলাফল ঘোষনাকালে তিনি কারচুপির নীলনকশা করেন প্রিজাইডিং অফিসার। সেন্টু শেখ এর নিকট এক লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন তাকে বিজয়ী ঘোষনা করবেন বলে।
সেন্টুর ভাষ্য, আমি পেয়েছি ৫০৫ ভোট ও প্রতিদদ্ধী ফুটবল মার্কার প্রার্থী পেয়েছে ৪৫২ ভোট, অপর প্রার্থী মোরগ প্রতিক পেয়েছে ৪০৯ ভোট। যখন প্রিজাইডং অফিসারের দাবি করা ঘুষের টাকা দিতে আমি অস্বিকার করি তখন সে অন্য প্রার্থীর কাছ মোটা অংকের টাকা ঘুষ খেয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে। পুলিশের ভয় দেখিয়ে, এজেন্টদের বের করে দেয়। মোরগ প্রতিকের প্রাপ্ত ভোটের থেকে একশত ভোট কমিয়ে ফুটবল প্রতিকে একশত বাড়িয়ে ৪৫২ থেকে ৫৫২ ভোট দেখিয়ে তাড়াহুড়া করে ফলাফল ঘোষনা করে বেরিয়ে যান প্রিজাইডিং অফিসার।
সেন্টু আরও বলেন, আমার প্রাপ্ত ভোট ছিলো ৫০৫ আর আমার প্রতিদদ্ধী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিলো ৪৫২ কিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষনা করেন প্রিজাইডিং অফিসার। এতে করে এলাকার লোকজন ক্ষোভে ফুসছেন যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তারাসহ আমিও এই ফলাফল মেনে নিতে পারছি না। তাই আমি নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এব্যাপারে, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তেলায়েত হোসেন বলেন, এরকম একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, কিন্তু এখনই আমি ও আমার অফিসের কিছু করার নেই। গেজেট পরবর্তীতে প্রতিদদ্ধী প্রার্থী এর বিরুদ্ধে মামলা দিতে পারবে। সংস্লিস্ট কেন্দ্রের নিযুক্ত প্রিজাইডিং অফিসার এবিএম মাহবুবুর রহমান অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, কোন প্রার্থীর কাছে থেকে ঘুষ চাওয়া ও ঘুষ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এটা তাদের মনগড়া কথা মাত্র।
প্রিন্ট