ঢাকা , রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দেড়মাস সংসার করার পর জানা গেল নববধু পুরুষ মানুষ Logo গোমস্তাপুর সাপের কামড়ে এক শিশুর মৃত্যু Logo কুষ্টিয়ায় আসামির ছুরিকাঘাতে ডিবি পুলিশের এসআই আহত, ২ জন আটক Logo মুকসুদপুরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথ পাঠ অনুষ্ঠান Logo সভাপতি মনিরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান নির্বাচিত Logo ফরিদপুরে জিপিএ-৫ পাওয়া দুঃস্থ ১২ শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ও অনুদান প্রদান Logo সদরপুরে জুলাই পনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত Logo তানোরের বিএমডিএর সেচ প্রকল্পের কল্যানে ফসলের মাঠ সবুজে ভরে উঠেছে Logo বাগাতিপাড়ায় জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান Logo গোমস্তাপুরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় সাবিনা ধর্ষণ-হত্যা

শুকুর আলীর ফাঁসি কার্যকর স্থগিত

-ছবিঃ প্রতীকী।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগরে কিশোরী সাবিনাকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় আসামি শুকুর আলীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

তবে তার মৃত্যু কার্যকর আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আইজি ও কারা কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আসামি শুকুর আলীর আইনি প্রক্রিয়া মেনে রিভিউ আবেদন করতে বলেছেন আপিল আদালত।

রোববার (৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, গত ১৮ আগস্ট আপিল বিভাগ শুকুর আলীর মৃত্যুদন্ডর আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ মামলায় অন্য তিন আসামিকে মৃত্যুদন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। এরপর আপিল বিভাগের রায়ের অগ্রিম অর্ডার পেয়ে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ শুকুর আলীর ফাঁসি কার্যকরে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনও পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন বাতিল করে দেন। তখন মৃত্যুদন্ড কার্যকরের উদ্যোগের কথা আমাদের জানানো হয়। আমরা কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় ও রিভিউ আবেদন দায়ের করার কথা জানায়। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগে তো ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে না। এরপর রিভিউ আবেদনের সুযোগও আসামিকে দিতে হবে। আমি আজ আপিল বিভাগে এসব কথা বলেছি। আপিল বিভাগ শুকুর আলীর ফাঁসি কার্যকর স্থগিত রাখতে বলেছেন।

জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগরে সাবিনা (১৩) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আসামি শুকুর আলীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে তিন জনকে যাবজ্জীবন দন্ড দেন আপিল বিভাগ।

ওই তিন আসামি হলেন- নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেন। তাদেরকে কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তর করতে নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ঝনুর মেয়ে সাবিনাকে (১৩) অপহরণ করে আসামিরা। পরে লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পরদিন সাবিনার বাবা আব্দুল মালেক ঝনু বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যনালের বিচারক আকবর হোসেন।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এরমধ্যে কামরুল নামের এক আসামি মারা যান। পরবর্তীতে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদন্ডর আদেশ বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা আপিল করেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেড়মাস সংসার করার পর জানা গেল নববধু পুরুষ মানুষ

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় সাবিনা ধর্ষণ-হত্যা

শুকুর আলীর ফাঁসি কার্যকর স্থগিত

আপডেট টাইম : ০৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ :

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগরে কিশোরী সাবিনাকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় আসামি শুকুর আলীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

তবে তার মৃত্যু কার্যকর আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আইজি ও কারা কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আসামি শুকুর আলীর আইনি প্রক্রিয়া মেনে রিভিউ আবেদন করতে বলেছেন আপিল আদালত।

রোববার (৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, গত ১৮ আগস্ট আপিল বিভাগ শুকুর আলীর মৃত্যুদন্ডর আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ মামলায় অন্য তিন আসামিকে মৃত্যুদন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। এরপর আপিল বিভাগের রায়ের অগ্রিম অর্ডার পেয়ে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ শুকুর আলীর ফাঁসি কার্যকরে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনও পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন বাতিল করে দেন। তখন মৃত্যুদন্ড কার্যকরের উদ্যোগের কথা আমাদের জানানো হয়। আমরা কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় ও রিভিউ আবেদন দায়ের করার কথা জানায়। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগে তো ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে না। এরপর রিভিউ আবেদনের সুযোগও আসামিকে দিতে হবে। আমি আজ আপিল বিভাগে এসব কথা বলেছি। আপিল বিভাগ শুকুর আলীর ফাঁসি কার্যকর স্থগিত রাখতে বলেছেন।

জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগরে সাবিনা (১৩) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আসামি শুকুর আলীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে তিন জনকে যাবজ্জীবন দন্ড দেন আপিল বিভাগ।

ওই তিন আসামি হলেন- নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেন। তাদেরকে কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তর করতে নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ঝনুর মেয়ে সাবিনাকে (১৩) অপহরণ করে আসামিরা। পরে লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়।

ঘটনার পরদিন সাবিনার বাবা আব্দুল মালেক ঝনু বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যনালের বিচারক আকবর হোসেন।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এরমধ্যে কামরুল নামের এক আসামি মারা যান। পরবর্তীতে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদন্ডর আদেশ বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা আপিল করেন।


প্রিন্ট