ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে নারী-শিক্ষা বিদ্বেষী একটি মহল। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘অনার্স ৩য় বর্ষের ফরম পূরণে-কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, ফরিদপুর -১ আসনের সাবেক সাংসদ ও কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, “নারী-শিক্ষা ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি কুচক্রী মহল। মহলটি মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে অনার্স শাখা বন্ধের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির জন্মলগ্ন থেকেই একটি মহল এর বিরোধীতা করে আসছে, তারা চায় না এলাকার সাধারণ মানুষের কন্যারা উচ্চ শিক্ষা লাভ করুক। তারা নানাভাবে অপ-প্রচার চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদটি অপ-প্রচারেরই অংশ।” কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও বোয়ালমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসাদের সাবেক কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুর রশিদ জানান, “আমাদের কলেজে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোন সুযোগ নেই।
কলেজটিতে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সব ধরণের বেতন ও ফি ব্যাংক রশিদের মাধ্যমে আদায় করা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে যে অভিযোগটি করা হয়েছে তা সত্য নয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরম পূরণ ফি ২,১৫০/= টাকা, কেন্দ্র ফি ৪৫০টাকা, এর বাইরে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত উন্নয়ন ফি, বিজ্ঞানাগার ফিসহ আনুষাঙ্গীক ফি অনাদায়ী থাকলে সেটা নেওয়া হচ্ছে।
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকা নেওয়ার এক্তিয়ার থাকলেও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমার মাত্র ৩ শত টাকা নিয়ে থাকি। কলেজটির সাফ্যলতায় একটি মহল প্রতিহিংসা-বসত অপ-প্রচার চালাচ্ছে, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।” কলেজ অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ জানান, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পরিচালনা কমিটির গৃহিত সিদ্ধান্তের বাইরে অতিরিক্ত একটি টাকাও শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে নেওয়া হয় না। অনার্স শাখা এমপিও ভুক্ত নয়, শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকা দিয়ে অনার্স শাখার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনাদি পরিশোধ করা হয়ে থাকে।
আমরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহি মনোভাব নিয়ে কলেজটি পরিচালনা করে আসছি। গণমাধ্যমের কাছে প্রত্যাশা অপ-প্রচার নয়, নারী শিক্ষা উন্নয়নে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করুন।” কলেজটির প্রধান সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, “আমার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও অসৌজন্যমূলক আচরণের যে অভিযোগ এনেছে সমাজকর্ম বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলামের অভিভাবক মোঃ সৈয়দ আলী তা মিথ্যা ও বানয়াট। ঐ অভিভাবকের সাথে সরাসরি অথবা ফোনে আমার কেনা কথাই হয়নি।
” অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগকারী বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. সৈয়দ আলী জানান, “আমার অভিযোগের ভিত্তিতে একজন গণমাধ্যমকর্মী কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে ফোনে লাউড স্পিকার দিয়ে কথা বলার সময় প্রধান সহকারি কামরুল ইসলাম পাশ থেকে আমার মেয়েকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেন, যা আমি শুনতে পাই। কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আমার কোন কথা হয় নাই।”
প্রিন্ট