ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফুলবাড়িয়ায় স্বামীর বাসা থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে স্ত্রী উধাও

মোঃ বাবুল হোসেন ও স্ত্রী মোছাঃ আমেনা খাতুন ।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের সোয়াইতপুর গ্রামের মোঃ মোমিন মিয়ার ( নাটোরী ) কন্যা মোছাঃ আমেনা খাতুন (২২) এর সাথে এনায়েতপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ বাবুল হোসেনের ( ৩২ ) সাথে গত ০১/০৯/২০২০ ইং তারিখে ২,০০,০০০ ( দুই লক্ষ ) টাকা দেনমোহর ধার্য্য করিয়া ৫০,০০০ ( পঞ্চাশ হাজার ) টাকা ওয়াশিলক্রমে মাসিক খোরপোষ সময় উপযোগী ভদ্রচিত হারে আদায় অঙ্গিকারার্থে ইজাব কবুলের মাধ্যমে ( জেলা ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক সমক্ষে এফিডেভিট এর মাধ্যমে ) বিবাহ হয় । উভয়েই একে অপরকে স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাদের সংসার জীবন পরিচালনা শুরু করে ।

জানা যায়, কিছুদিন পর মোছাঃ আমেনা খাতুন তার স্বামী মোঃ বাবুল হোসেনের বাসা থেকে ১,৬০,০০০ ( এক লক্ষ ষাট হাজার ) টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় । এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মোঃ বাবুল হোসেন ।

মোঃ বাবুল হোসেন  বলেন, “আমি আমার স্ত্রী আমেনা খাতুন এর নিকট নগদ ১,৬০,০০০ টাকা রাখি । উক্ত টাকা পাইয়া আমেনা খাতুন গত ১০/০৯/২০২০ তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় আমার বাসা হইতে পালাইয়া যায় । পরে স্ত্রী মোছাঃ আমেনা খাতুন এর ফোনে ফোন দেই জিজ্ঞাসা করি সে কোথায় আমেনা উত্তরে জানায় সে তার এক আত্মীয়র বাসায় আছে । আমেনা খাতুন কে জিজ্ঞেস করি আমার দেওয়া নগদ ১,৬০,০০০ টাকা কখন দিবে ?”
তিনি আরো বলেন, “আমেনা খাতুন আমাকে জানায়, কিছু দিনের মধ্যে টাকা গুলো দিয়ে দিবে । তার কিছুক্ষণ পর থেকেই আমেনা খাতুনের ফোন বন্ধ আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।”

স্থানীয়রা জানান, মোঃ বাবুল হোসেন এর সাথে বিবাহ হওয়ার আগে আরো ২/৩ টি বিবাহ হয়েছিল আমেনা খাতুনের, কিন্তু বিয়ের পর কিছুদিন করে সংসার করে আমেনা খাতুন । তার পর স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসে । এমনটা কেনো করে আমেনা খাতুন ? প্রশ্নের জবাবে এলাকাবাসি জানায়, এটা কি তাদের বিয়ে নিয়ে ব্যবসা না এর পিছনে অন্য কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে আমরা ঠিক বলতে পারব না ।
এ বিষয়ে স্বামী মোঃ বাবুল মিয়া জানায়, “আগে এরকম একাধিক বার বিয়ে হয়েছিলো বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা ।”
ঘটনা সম্পর্কে আমেনা খাতুনের পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন কথা বলতে রাজি হননি ।

এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ হয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কাজ চলছে ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ফুলবাড়িয়ায় স্বামীর বাসা থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে স্ত্রী উধাও

আপডেট টাইম : ০৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
আল আমিন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ :
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের সোয়াইতপুর গ্রামের মোঃ মোমিন মিয়ার ( নাটোরী ) কন্যা মোছাঃ আমেনা খাতুন (২২) এর সাথে এনায়েতপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ বাবুল হোসেনের ( ৩২ ) সাথে গত ০১/০৯/২০২০ ইং তারিখে ২,০০,০০০ ( দুই লক্ষ ) টাকা দেনমোহর ধার্য্য করিয়া ৫০,০০০ ( পঞ্চাশ হাজার ) টাকা ওয়াশিলক্রমে মাসিক খোরপোষ সময় উপযোগী ভদ্রচিত হারে আদায় অঙ্গিকারার্থে ইজাব কবুলের মাধ্যমে ( জেলা ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক সমক্ষে এফিডেভিট এর মাধ্যমে ) বিবাহ হয় । উভয়েই একে অপরকে স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাদের সংসার জীবন পরিচালনা শুরু করে ।

জানা যায়, কিছুদিন পর মোছাঃ আমেনা খাতুন তার স্বামী মোঃ বাবুল হোসেনের বাসা থেকে ১,৬০,০০০ ( এক লক্ষ ষাট হাজার ) টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় । এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মোঃ বাবুল হোসেন ।

মোঃ বাবুল হোসেন  বলেন, “আমি আমার স্ত্রী আমেনা খাতুন এর নিকট নগদ ১,৬০,০০০ টাকা রাখি । উক্ত টাকা পাইয়া আমেনা খাতুন গত ১০/০৯/২০২০ তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় আমার বাসা হইতে পালাইয়া যায় । পরে স্ত্রী মোছাঃ আমেনা খাতুন এর ফোনে ফোন দেই জিজ্ঞাসা করি সে কোথায় আমেনা উত্তরে জানায় সে তার এক আত্মীয়র বাসায় আছে । আমেনা খাতুন কে জিজ্ঞেস করি আমার দেওয়া নগদ ১,৬০,০০০ টাকা কখন দিবে ?”
তিনি আরো বলেন, “আমেনা খাতুন আমাকে জানায়, কিছু দিনের মধ্যে টাকা গুলো দিয়ে দিবে । তার কিছুক্ষণ পর থেকেই আমেনা খাতুনের ফোন বন্ধ আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।”

স্থানীয়রা জানান, মোঃ বাবুল হোসেন এর সাথে বিবাহ হওয়ার আগে আরো ২/৩ টি বিবাহ হয়েছিল আমেনা খাতুনের, কিন্তু বিয়ের পর কিছুদিন করে সংসার করে আমেনা খাতুন । তার পর স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসে । এমনটা কেনো করে আমেনা খাতুন ? প্রশ্নের জবাবে এলাকাবাসি জানায়, এটা কি তাদের বিয়ে নিয়ে ব্যবসা না এর পিছনে অন্য কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে আমরা ঠিক বলতে পারব না ।
এ বিষয়ে স্বামী মোঃ বাবুল মিয়া জানায়, “আগে এরকম একাধিক বার বিয়ে হয়েছিলো বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা ।”
ঘটনা সম্পর্কে আমেনা খাতুনের পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন কথা বলতে রাজি হননি ।

এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ হয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কাজ চলছে ।


প্রিন্ট