জানা যায়, কিছুদিন পর মোছাঃ আমেনা খাতুন তার স্বামী মোঃ বাবুল হোসেনের বাসা থেকে ১,৬০,০০০ ( এক লক্ষ ষাট হাজার ) টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় । এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মোঃ বাবুল হোসেন ।
মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, “আমি আমার স্ত্রী আমেনা খাতুন এর নিকট নগদ ১,৬০,০০০ টাকা রাখি । উক্ত টাকা পাইয়া আমেনা খাতুন গত ১০/০৯/২০২০ তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় আমার বাসা হইতে পালাইয়া যায় । পরে স্ত্রী মোছাঃ আমেনা খাতুন এর ফোনে ফোন দেই জিজ্ঞাসা করি সে কোথায় আমেনা উত্তরে জানায় সে তার এক আত্মীয়র বাসায় আছে । আমেনা খাতুন কে জিজ্ঞেস করি আমার দেওয়া নগদ ১,৬০,০০০ টাকা কখন দিবে ?”
তিনি আরো বলেন, “আমেনা খাতুন আমাকে জানায়, কিছু দিনের মধ্যে টাকা গুলো দিয়ে দিবে । তার কিছুক্ষণ পর থেকেই আমেনা খাতুনের ফোন বন্ধ আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।”
স্থানীয়রা জানান, মোঃ বাবুল হোসেন এর সাথে বিবাহ হওয়ার আগে আরো ২/৩ টি বিবাহ হয়েছিল আমেনা খাতুনের, কিন্তু বিয়ের পর কিছুদিন করে সংসার করে আমেনা খাতুন । তার পর স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসে । এমনটা কেনো করে আমেনা খাতুন ? প্রশ্নের জবাবে এলাকাবাসি জানায়, এটা কি তাদের বিয়ে নিয়ে ব্যবসা না এর পিছনে অন্য কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে আমরা ঠিক বলতে পারব না ।
এ বিষয়ে স্বামী মোঃ বাবুল মিয়া জানায়, “আগে এরকম একাধিক বার বিয়ে হয়েছিলো বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা ।”
ঘটনা সম্পর্কে আমেনা খাতুনের পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন কথা বলতে রাজি হননি ।
এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ হয়েছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কাজ চলছে ।
প্রিন্ট