ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে আহলে হাদিস মসজিদ ও মাদরাসা ভাঙ্গার প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আহলে হাদিস মসজিদ ও মাদরাসা ভাংচুরের প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। ছবি-প্রতিনিধি।

ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় উগ্রবাদী জনগোষ্ঠী কর্তৃক আহলে হাদিস মসজিদ ও মাদরাসা ভাংচুরের প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) জুমআর নামাজ শেষে বাংলাদেশ আহলেহাদিস তাবলীগে ইসলাম খুলনা মহানগর শাখার ব্যনারে দৌলতপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল পরবর্তী সমবেশে জেলা আমীর শেখ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আমীর মুফতি মুনীর উদ্দিন।

প্রধান অতিথীর বক্তব্যে তিনি বলেন, ফরিদপুরে মসজিদ ভাংচুরের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করতে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। সরকার দলীয় স্থানীয় কতিপয় নেতাদের প্রশ্রয়ে প্রশাসন আসামীদের গ্রেফতার না করে উল্টো আমাদের ভাইদের প্রায় একমাস যাবৎ জুম্মা’র নামাজ ও মসজিদ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। যা খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখ জনক।

এতে বুঝা যায় ফরিদপুরের প্রশাসন আমাদের ধর্মীয় বিধান পালনে সহযোগীতা না করে মসজিদ ভাঙ্গা সন্ত্রাসীদের সারা দেশে আহলে হাদিস অনুসারীদের মসজিদসহ ভিবিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় ভাঙ্গার দিকে উসকিয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনের এমন বৈষম্যমূলক আচরনে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

তিনি আরও বলেন স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে স্ব স্ব ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে মুখোশধারী আলেম নামক সন্ত্রাসীরা ভবিষ্যৎে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করতে পারে। কাজেই সরকারের উচিৎ  এহেন মসজিদ ভাঙ্গা সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করা ।

এসময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ১৮ কোটি মানুষের প্রধানমন্ত্রী। সকলের ধর্মীয় অধিকার নিশ্চত করতে আপনার গুরু দায়িত্ব রয়েছে। আমরা চাই আপনি সকল ধর্মানুসারীদের প্রতি সর্বদা সুদৃষ্টি রাখবেন।

এসময় তিনি বি বাড়ীয়ার সরাইল উপজেলায় আহলে হাদিস অনুসারীদের মসজিদে তাদের অনুসারী ইমামকে প্রশাসন কর্তৃক অপসারণ ও সেই মসজিদে বাংলা খুৎবা বন্ধ করে দেওয়ার তীব্র নিন্ধাজ্ঞাপন করেন।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙ্গায় জড়িত আসামীদের ফুটেজ দেখে দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করে দেশবাসীর কাছে আসামীদের যেভাবে মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে অনুরুপভাবে মসজিদ মাদরাসায় হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা করুন।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আমাদের ২শতাধিক পরিবারের মুসল্লীদের মসজিদের নির্মাণ কাজে অনুমোদনসহ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আহলে হাদিস অনুসারীদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। অন্যথায় আমরা ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণ লংমার্চের ডাক দিব।

এসময় তিনি আরও বলেন সকল ধর্মের সহবাস্থানের উপযুক্ত বিধান দিয়েছে ইসলাম।তারপরেও যারা ইসলাম কে না জেনে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যায়িত করেন আমরা বলব এটা তাদের অজ্ঞতার শামীল। আপনারা যারা না বুজে মৌলবাদ বলে গালি দিচ্ছেন তাদেরকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি আপনারা আগে ইসলাম কে জানুন; পরে সমালোচনা করুন।

খুলনা জেলা সহ. আমির আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওঃআল আমিন।

অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন, কামাল উদ্দিন, মাওঃ আঃ রশিদ, অধ্যাপক আকবার হোসাইন, মাওঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, অধ্যাপক শুয়াইব রুমী, আজিমুদ্দিন, মাওঃ মিজান, মোঃ আলামিন, এড.পলাশ মাহমুদ, মাওঃ আব্দুল্লাহ, মুফতি ফজলুর রহমান, শেখ জামাল, সরোয়ার হোসেন, ছাত্রতাবলীগের সভাপতি সাইদ বিন মুনীর, শাকিল, মুহিববুল্লাহ, সামাউন, রাশেদ, নাইম শেখ প্রমূখ।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ

error: Content is protected !!

ফরিদপুরে আহলে হাদিস মসজিদ ও মাদরাসা ভাঙ্গার প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ১০:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় উগ্রবাদী জনগোষ্ঠী কর্তৃক আহলে হাদিস মসজিদ ও মাদরাসা ভাংচুরের প্রতিবাদে খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) জুমআর নামাজ শেষে বাংলাদেশ আহলেহাদিস তাবলীগে ইসলাম খুলনা মহানগর শাখার ব্যনারে দৌলতপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল পরবর্তী সমবেশে জেলা আমীর শেখ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আমীর মুফতি মুনীর উদ্দিন।

প্রধান অতিথীর বক্তব্যে তিনি বলেন, ফরিদপুরে মসজিদ ভাংচুরের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করতে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। সরকার দলীয় স্থানীয় কতিপয় নেতাদের প্রশ্রয়ে প্রশাসন আসামীদের গ্রেফতার না করে উল্টো আমাদের ভাইদের প্রায় একমাস যাবৎ জুম্মা’র নামাজ ও মসজিদ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। যা খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখ জনক।

এতে বুঝা যায় ফরিদপুরের প্রশাসন আমাদের ধর্মীয় বিধান পালনে সহযোগীতা না করে মসজিদ ভাঙ্গা সন্ত্রাসীদের সারা দেশে আহলে হাদিস অনুসারীদের মসজিদসহ ভিবিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় ভাঙ্গার দিকে উসকিয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনের এমন বৈষম্যমূলক আচরনে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

তিনি আরও বলেন স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে স্ব স্ব ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে মুখোশধারী আলেম নামক সন্ত্রাসীরা ভবিষ্যৎে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করতে পারে। কাজেই সরকারের উচিৎ  এহেন মসজিদ ভাঙ্গা সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করা ।

এসময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ১৮ কোটি মানুষের প্রধানমন্ত্রী। সকলের ধর্মীয় অধিকার নিশ্চত করতে আপনার গুরু দায়িত্ব রয়েছে। আমরা চাই আপনি সকল ধর্মানুসারীদের প্রতি সর্বদা সুদৃষ্টি রাখবেন।

এসময় তিনি বি বাড়ীয়ার সরাইল উপজেলায় আহলে হাদিস অনুসারীদের মসজিদে তাদের অনুসারী ইমামকে প্রশাসন কর্তৃক অপসারণ ও সেই মসজিদে বাংলা খুৎবা বন্ধ করে দেওয়ার তীব্র নিন্ধাজ্ঞাপন করেন।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙ্গায় জড়িত আসামীদের ফুটেজ দেখে দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করে দেশবাসীর কাছে আসামীদের যেভাবে মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে অনুরুপভাবে মসজিদ মাদরাসায় হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা করুন।

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আমাদের ২শতাধিক পরিবারের মুসল্লীদের মসজিদের নির্মাণ কাজে অনুমোদনসহ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আহলে হাদিস অনুসারীদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। অন্যথায় আমরা ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণ লংমার্চের ডাক দিব।

এসময় তিনি আরও বলেন সকল ধর্মের সহবাস্থানের উপযুক্ত বিধান দিয়েছে ইসলাম।তারপরেও যারা ইসলাম কে না জেনে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যায়িত করেন আমরা বলব এটা তাদের অজ্ঞতার শামীল। আপনারা যারা না বুজে মৌলবাদ বলে গালি দিচ্ছেন তাদেরকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি আপনারা আগে ইসলাম কে জানুন; পরে সমালোচনা করুন।

খুলনা জেলা সহ. আমির আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওঃআল আমিন।

অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন, কামাল উদ্দিন, মাওঃ আঃ রশিদ, অধ্যাপক আকবার হোসাইন, মাওঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, অধ্যাপক শুয়াইব রুমী, আজিমুদ্দিন, মাওঃ মিজান, মোঃ আলামিন, এড.পলাশ মাহমুদ, মাওঃ আব্দুল্লাহ, মুফতি ফজলুর রহমান, শেখ জামাল, সরোয়ার হোসেন, ছাত্রতাবলীগের সভাপতি সাইদ বিন মুনীর, শাকিল, মুহিববুল্লাহ, সামাউন, রাশেদ, নাইম শেখ প্রমূখ।