ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দুই জেলার ডিসি আপন দুই ভাই

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট টাইম : ০৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • ২২৭ বার পঠিত

আপন দুই ভাইকে দুই জেলার দায়িত্ব সামলাতে ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার যে ১১ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে লক্ষ্মীপুরের ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ। তিনি ২২তম বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

আনোয়ারের আপন বড় ভাই মোহাম্মদ কামরুল হাসান ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে হবিগঞ্জের ডিসির দায়িত্বে আছেন, তিনি ২১তম বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

দুই ভাইয়ের একসঙ্গে ডিসির দায়িত্বে থাকার ঘটনা জনপ্রশাসনে খুব একটা নেই। একসঙ্গে দুই ভাই এই দায়িত্বে থাকতে পেরে তাদের পরিবারের সবাই খুশি।

নতুন ডিসির দায়িত্ব পাওয়া আনোয়ার হোসেন শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানান, তারা নয় ভাই-বোনের ছয়জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন।

নয় ভাই-বোনের মধ্যে চারজন বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। একজন সরকারি একটি প্রকল্পে চাকরি করছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনজন সরকারি চাকরির চেষ্টা করছেন। এক ভাই বেশি দূর পড়াশোনা করেননি।

আনোয়ার জানান, তাদের তৃতীয় বোন রেবেকা সুলতানা স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রকল্পে উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে কাজ করছেন।

চতুর্থ ভাই কামাল হোসেন ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে পাস করে ২৮তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে আছেন।

পঞ্চম ভাই মোবারক হোসেনের পড়াশোনা খুব বেশি দূর না এগোনোয় তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে ময়মনসিংহের গ্রামের বাড়িতে থাকেন বলে জানান আনোয়ার।

ষষ্ঠ বোন তানিয়া সুলতানা মানিকগঞ্জের শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্বে আছেন। ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশে যোগ দেন তিনি।

“সপ্তম বোন মুনিরা সুলতানা আনন্দমোহন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নানকোত্তর পাস করে বিসিএস দিচ্ছেন।”

আনোয়ার জানান, অষ্টম ভাই এহসানুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে চাকরি খুঁজছেন, তিনিও বিসিএস দিচ্ছেন।

আর সবার ছোট সুমাইয়া সুলতানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে বিসিএস দিচ্ছেন বলে জানান আনোয়ার।

“বাবা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার হিসেবে ২০০৫ সালে অবসরে গেছেন। মা আমাদের বড় করেছেন, তিনিই আসল কাজ করেছেন। তারা ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় বিদ্যাগঞ্জের কুষ্টিয়া নামাপাড়া গ্রামে থাকেন।”

আনোয়ারের ডিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার খবরে হবিগঞ্জের ডিসির দায়িত্বে থাকা বড় ভাই কামরুল হাসান খুব খুশি বলে জানান তিনি।

“আমাদের মত দুই ভাই একসঙ্গে ডিসির দায়িত্বে আছে বলে নলেজে নেই। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদের সুযোগ দিয়েছেন মানুষের সেবা করার জন্য। সরকার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দিয়েছে আস্থা রেখে, আমরা সেভাবেই মানুষের সেবা করার চেষ্টা করব।”

প্রথমবারেই বিসিএস পরীক্ষায় বসে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পেয়ে যান বলে জানান আনোয়ার। তিনি বলেন, “আমরা যে যেখানেই পরীক্ষা দিয়েছি কেউ ফিরে আসেনি।”

বড় ভাই কামরুল ২০তম বিসিএসে প্রথমে শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দিয়ে পরেরবার ২১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পান বলে জানান আনোয়ার।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শালিখায় ৫৩তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

দুই জেলার ডিসি আপন দুই ভাই

আপডেট টাইম : ০৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০
ডেস্ক রিপোর্টঃ :

আপন দুই ভাইকে দুই জেলার দায়িত্ব সামলাতে ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার যে ১১ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে লক্ষ্মীপুরের ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ। তিনি ২২তম বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

আনোয়ারের আপন বড় ভাই মোহাম্মদ কামরুল হাসান ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে হবিগঞ্জের ডিসির দায়িত্বে আছেন, তিনি ২১তম বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

দুই ভাইয়ের একসঙ্গে ডিসির দায়িত্বে থাকার ঘটনা জনপ্রশাসনে খুব একটা নেই। একসঙ্গে দুই ভাই এই দায়িত্বে থাকতে পেরে তাদের পরিবারের সবাই খুশি।

নতুন ডিসির দায়িত্ব পাওয়া আনোয়ার হোসেন শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানান, তারা নয় ভাই-বোনের ছয়জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন।

নয় ভাই-বোনের মধ্যে চারজন বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। একজন সরকারি একটি প্রকল্পে চাকরি করছেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনজন সরকারি চাকরির চেষ্টা করছেন। এক ভাই বেশি দূর পড়াশোনা করেননি।

আনোয়ার জানান, তাদের তৃতীয় বোন রেবেকা সুলতানা স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রকল্পে উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে কাজ করছেন।

চতুর্থ ভাই কামাল হোসেন ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে পাস করে ২৮তম বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে আছেন।

পঞ্চম ভাই মোবারক হোসেনের পড়াশোনা খুব বেশি দূর না এগোনোয় তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে ময়মনসিংহের গ্রামের বাড়িতে থাকেন বলে জানান আনোয়ার।

ষষ্ঠ বোন তানিয়া সুলতানা মানিকগঞ্জের শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্বে আছেন। ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশে যোগ দেন তিনি।

“সপ্তম বোন মুনিরা সুলতানা আনন্দমোহন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নানকোত্তর পাস করে বিসিএস দিচ্ছেন।”

আনোয়ার জানান, অষ্টম ভাই এহসানুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে চাকরি খুঁজছেন, তিনিও বিসিএস দিচ্ছেন।

আর সবার ছোট সুমাইয়া সুলতানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে বিসিএস দিচ্ছেন বলে জানান আনোয়ার।

“বাবা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার হিসেবে ২০০৫ সালে অবসরে গেছেন। মা আমাদের বড় করেছেন, তিনিই আসল কাজ করেছেন। তারা ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় বিদ্যাগঞ্জের কুষ্টিয়া নামাপাড়া গ্রামে থাকেন।”

আনোয়ারের ডিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার খবরে হবিগঞ্জের ডিসির দায়িত্বে থাকা বড় ভাই কামরুল হাসান খুব খুশি বলে জানান তিনি।

“আমাদের মত দুই ভাই একসঙ্গে ডিসির দায়িত্বে আছে বলে নলেজে নেই। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদের সুযোগ দিয়েছেন মানুষের সেবা করার জন্য। সরকার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দিয়েছে আস্থা রেখে, আমরা সেভাবেই মানুষের সেবা করার চেষ্টা করব।”

প্রথমবারেই বিসিএস পরীক্ষায় বসে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পেয়ে যান বলে জানান আনোয়ার। তিনি বলেন, “আমরা যে যেখানেই পরীক্ষা দিয়েছি কেউ ফিরে আসেনি।”

বড় ভাই কামরুল ২০তম বিসিএসে প্রথমে শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দিয়ে পরেরবার ২১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পান বলে জানান আনোয়ার।


প্রিন্ট