জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ধানখেত হতে ৩২ বছর বয়সী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। সে উপজেলার তুলসীগঙ্গা ইউপির দাশড়া মসন্দাইল গ্রামের মুনছুর রহমানের ছেলে গোলাম মওলা ( ৩২)। পরিবারের দাবি এটি একটি হত্যাকান্ড।
জানা গেছে, শুক্রবার ( ২৭ আগস্ট) রাত ২ টায় ক্ষেতলাল উপজেলার পৌর সদরের মরাগাড়ি ও বাবরাব নামক দুই স্থানের মাঝামাঝি স্থানের একটি ধানখেতে ওই যুবক গোলাম মওলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবার ও এলাকাবাসী ক্ষেতলাল থানা পুলিশকে ফোনে জানায়। পরে শুক্রবার ভোর ৩ টায় পুলিশ ঘটনাস্থল হতে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গোলাম মাওলার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার ভাই খুব ভাল ও সৎ ছেলে। এটি কোন দূর্ঘটনা নয় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আমি এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চাই।
নিহতের বাবা ৭০ উর্দ্ধো মুনছুর রহমান কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমার বাবাকে যারা হত্যা করল তাদের উপযুক্ত বিচার দেখে যেতে চাই।
ক্ষেতলাল বাইতুর রহমান আহলে হাদিস জামে মসজিদের ইমাম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইশার নামাজ শেষে তার সাথে দেখা হয়েছিল এবং সকালে তার মৃত্যুর খবর পেলাম। এটি খুব কষ্টদায়ক। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ঘটনাস্থল হতে নিহত যুবকের ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও ব্যাগ হতে বিকাশের কাজে ব্যবহৃত ৩ টি টাচ মোবাইল ফোন, ১ টি ট্যাব এবং ম্যানিব্যাগসহ নগদ ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাসীর ধারনা, বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে ঝিম ঝিম বৃষ্টির মধ্যে বাড়ীতে ফিরার পথে কেউ বা কাহারা তাকে পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যা করেছে।
সে ক্ষেতলাল সরকারি এস এ কলেজ রোডে বিকাশ ও নগদের ব্যবসা করতেন। সে ৫ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তৃতীয় এবং ব্যক্তিজীবনে অবিবাহিত ছিলেন।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ ( তদন্ত) শাহ আলম জানান, তাকে হত্যা করা হয়েছে এটি নিশ্চিত। তবে এখনও হত্যার আসল কারন জানা যায়নি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি বলেও জানান।
প্রিন্ট