উপজেলার সর্বত্র যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। তবে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে সকাল থেকে ওড়েনি জাতীয় পতাকা, টাঙানো হয়নি কোন ব্যানার-ফেস্টুন। ছিল না আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের কোন আয়োজন।
এ দিবসে বিধি অনুয়ায়ী সকল সরকারি-বেসরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
রোববার (১৫ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে উড়ছে না কোন পতাকা, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী টাঙানো হয়নি কোন ধরণের ব্যানার-ফেস্টুন। ছিল কোন ধরণের কর্মসূচী। জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সংম্বলিত কোন ব্যানার না টাঙানোয় চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
ইউপি সদস্য শওকত তালুকদার বলেন, ‘জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে পতাকা উত্তোলন, ব্যানার টাঙানো, আলোচনা সভা ও দোয়া কোন কিছুই হয়নি।’
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বিএম হারুন অর রশিদ পিনুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল চুরি করে নিয়ে গেছে। ব্যানার ভবনে টাঙালে দেখা যায় না বলে রাস্তায় টাঙিয়েছিলাম।’
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ব্যানার না টাঙিয়ে থাকলে চেয়ারম্যান অন্যায় করেছেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়া হবে এবং খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।’
প্রিন্ট