কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন করোনায় ও ০ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন, এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপও আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে। আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ১৯১ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৫৮ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৩৩ জন।
জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮৫টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১৬ হাজার ৫৮৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৮৭৪ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬৫০ জন।
নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২৯২ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৮৭ জন, কুমারখালী উপজেলায় ৭০ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৪৪, ভেড়ামারা উপজেলায় ১৯ জন, মিরপুর উপজেলায় ৫০ জন ও খোকসা উপজেলার ২২ জন।
এখন পর্যন্ত জেলায় ৯৩ হাজার ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৮৭ হাজার ৮৪১ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৬৩ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ২২৫ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন দুই হাজার ৮৩৮ জন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবিরের বলেন , গ্রামে গ্রামে প্রশাসনের নজরদারি ও তদারকি আরও বাড়াতে হবে। উপসর্গ নিয়ে কেউ যেন বাড়িতে বসে না থাকেন। তাঁদের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়া মৃত্যুহার কমানো সম্ভব নয়। চিকিৎসা নিতে যত দেরি হবে, মৃত্যুর ঝুঁকি তত বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, সংক্রমণের হার কমানোর জন্য শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প পথ নেই। যত দ্রুত সম্ভব, গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। কেননা মারা যাওয়া রোগীদের বেশির ভাগই গ্রাম থেকে আসা বয়স্ক নারী–পুরুষ।
প্রিন্ট