ঢাকা , সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রায়পুরায় সাঁড়াশি অভিযানে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার, দুই নারী আটক Logo লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে আটজন আহত, রেল যোগাযোগ বন্ধ Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনালে মহম্মদপুর Logo হাতিয়ায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে দুইজনের মৃত্যু Logo ভেড়ামারায় জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১০ কোটি টাকা Logo হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর আরাফাত গ্রেপ্তার Logo মধুখালীতে ৩৯ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মেধাবৃত্তি ও সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ Logo গোমস্তাপুরে ‘উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী’ পুরস্কার পেল ৩৯ জন Logo ফরিদপুরে গঙ্গাজল অর্পণ ‌ উৎসব পালিত Logo কুষ্টিয়ায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে জরিমানা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গমের মূল্যে সামান্য বৃদ্ধির অজুহাতে কুষ্টিয়ায় আটার দাম বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা বৃদ্ধি

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ায় হঠাৎ করে আটার বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গমের মূল্যে সামান্য বৃদ্ধির অজুহাতে মিল মালিকরা বস্তাপ্রতি আটা ১৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে।

 

কুষ্টিয়া জেলার লাহিনী বটতলার নগর মোহাম্মদপুর এলাকায় অবস্থিত সাব্বির অটো ফ্লাওয়ার মিলের আটা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১,৪০০ টাকা দরে। বড়বাজারের সি আর পি ফ্লাওয়ার মিল ৩৭ কেজির বস্তা বিক্রি করছে ১,৪২০ টাকায়। আর সাতরানী ফ্লাওয়ার মিলের সাতরানী ব্র্যান্ডের আটা বিক্রি হচ্ছে ১,৪৩০ টাকায়।

 

অথচ গমের বাজারে প্রতি মণে দাম বেড়েছে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবুও মিল মালিকরা কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৫.৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছেন। সরেজমিনে কয়েকটি ফ্লাওয়ার মিল ঘুরে এমন চিত্রই উঠে এসেছে প্রতিবেদকের চোখে।

 

স্থানীয় বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেনকে এক সপ্তাহ আগেই বিষয়টি জানানো হলেও তিনি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কেবল মোবাইল ফোনে মিল মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দাম জেনে নেন, কিন্তু মাঠে নেমে পরিস্থিতি যাচাই করেন না।

 

এ বিষয়ে কথা হলে বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন বলেন, গমে কেজিপ্রতি ১ থেকে ১.৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। আর ভুষির চাহিদা কমে যাওয়ায় মিল মালিকেরা আটার উৎপাদন কিছুটা বাড়িয়েছেন। সে কারণে সামান্য মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, মিল মালিকেরা কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ২ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে।

 

কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট গম ব্যবসায়ী আব্দুল গণী বলেন, গমের দাম মনপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে ঠিকই, তবে ভুষির দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ফলে এই দুই দিক মিলিয়ে প্রতি কেজি আটার দাম সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ টাকা বাড়তে পারে, কিন্তু এখনকার বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই।

 

ছাল-ভুষি ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, এটা একেবারেই অরাজকতা। বাজারে কার্যকর মনিটরিং না থাকার কারণে মিল মালিকেরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে।

 

সি আর পি ফ্লাওয়ার মিলের কর্মকর্তা গোবিন্দ বাবু বলেন, দাম আগে ১,১৫০ থেকে ১,২০০ টাকা ছিল, এখন কিছুটা বেড়েছে। তবে গমের দামে সামান্য বাড়তির পরও আটা এতটা বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

 

জেলার সাধারণ মানুষ বলছেন, বাজারে কঠোর নজরদারি না থাকলে এ ধরনের অনিয়ম চলতেই থাকবে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়পুরায় সাঁড়াশি অভিযানে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার, দুই নারী আটক

error: Content is protected !!

গমের মূল্যে সামান্য বৃদ্ধির অজুহাতে কুষ্টিয়ায় আটার দাম বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা বৃদ্ধি

আপডেট টাইম : ১৭ ঘন্টা আগে
ইসমাইল হােসেন বাবু :

ইসমাইল হােসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ায় হঠাৎ করে আটার বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গমের মূল্যে সামান্য বৃদ্ধির অজুহাতে মিল মালিকরা বস্তাপ্রতি আটা ১৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে।

 

কুষ্টিয়া জেলার লাহিনী বটতলার নগর মোহাম্মদপুর এলাকায় অবস্থিত সাব্বির অটো ফ্লাওয়ার মিলের আটা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১,৪০০ টাকা দরে। বড়বাজারের সি আর পি ফ্লাওয়ার মিল ৩৭ কেজির বস্তা বিক্রি করছে ১,৪২০ টাকায়। আর সাতরানী ফ্লাওয়ার মিলের সাতরানী ব্র্যান্ডের আটা বিক্রি হচ্ছে ১,৪৩০ টাকায়।

 

অথচ গমের বাজারে প্রতি মণে দাম বেড়েছে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবুও মিল মালিকরা কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৫.৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছেন। সরেজমিনে কয়েকটি ফ্লাওয়ার মিল ঘুরে এমন চিত্রই উঠে এসেছে প্রতিবেদকের চোখে।

 

স্থানীয় বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেনকে এক সপ্তাহ আগেই বিষয়টি জানানো হলেও তিনি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কেবল মোবাইল ফোনে মিল মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দাম জেনে নেন, কিন্তু মাঠে নেমে পরিস্থিতি যাচাই করেন না।

 

এ বিষয়ে কথা হলে বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন বলেন, গমে কেজিপ্রতি ১ থেকে ১.৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। আর ভুষির চাহিদা কমে যাওয়ায় মিল মালিকেরা আটার উৎপাদন কিছুটা বাড়িয়েছেন। সে কারণে সামান্য মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, মিল মালিকেরা কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ২ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে।

 

কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট গম ব্যবসায়ী আব্দুল গণী বলেন, গমের দাম মনপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে ঠিকই, তবে ভুষির দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ফলে এই দুই দিক মিলিয়ে প্রতি কেজি আটার দাম সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ টাকা বাড়তে পারে, কিন্তু এখনকার বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই।

 

ছাল-ভুষি ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, এটা একেবারেই অরাজকতা। বাজারে কার্যকর মনিটরিং না থাকার কারণে মিল মালিকেরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে।

 

সি আর পি ফ্লাওয়ার মিলের কর্মকর্তা গোবিন্দ বাবু বলেন, দাম আগে ১,১৫০ থেকে ১,২০০ টাকা ছিল, এখন কিছুটা বেড়েছে। তবে গমের দামে সামান্য বাড়তির পরও আটা এতটা বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

 

জেলার সাধারণ মানুষ বলছেন, বাজারে কঠোর নজরদারি না থাকলে এ ধরনের অনিয়ম চলতেই থাকবে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা।


প্রিন্ট