ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কলেজছাত্রকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের কলেজছাত্র লিমন উর রহমান ওরফে বাঁধনকে (১৮) গত শনিবার এ জখম করা হয়। লিমন ওই গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি কাদিরদী ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। গতকাল রোববার এ ঘটনায় মামলা করেছে লিমনের পরিবার। পরে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
থানা সূত্র জানায়, গ্রামে ক্যারাম খেলা নিয়ে লিমনের সঙ্গে একই গ্রামের সাবু মোল্লার ছেলে লেদ শ্রমিক রাতুল মিয়া ও আকরাম মোল্লার ছেলে আবির মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওই দিন বেলা দুইটায় বোয়ালমারী থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধুলপুকুরিয়া গ্রামের দিলীপ রায় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তরা লিমনের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
লিমন বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. নাউম হোসেন বলেন, লিমনের মাথায় ও বাম চোখের কোনায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের কাটাছেঁড়া স্থানগুলোতে পঁচিশটির বেশি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বাম হাত ভেঙে গেছে।
লিমনের চাচা মো. মজিবর রহমান বাদী হয়ে হামলার ঘটনায় গতকাল রোববার থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের আঁধারকোঠা মহল্লার সাজ্জাদ বিশ্বাসের ছেলে এমডি রাশেদুজ্জামানকে গ্রপ্তার করেছে। তিনি স্থানীয় বোয়ালমারী ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিপ্লোমা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) উপপরিদর্শক শাহাদত হোসেন জানান, মামলার এজাহারনামীয় এক আসামি এমডি রাশেদুজ্জামানকে (২০) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
প্রিন্ট