ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় আজ আরও ১২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত-১১৪

করোনা সংক্রমণের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় প্রথম কুষ্টিয়া। অস্বাভাবিক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারণে কুষ্টিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন করোনায় ও ১ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

রবিবার  (০৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন, এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার  সকাল ৮টা থেকে রবিবার  সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়েছে।

বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ১৭৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ও ৫২ জন উপসর্গ নিয়ে মোট ২২৬ জন ভর্তি রয়েছেন।

পিসিআর ল্যাব ও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৪ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২২.৮৪% শতাংশ। জেলায় গত প্রায় দেড় মাসের মধ্যে করোনায় শনাক্তের গড় আজকেই সর্বনিম্ন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.  আব্দুল মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তে আছে। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবিরের বলেন , গ্রামে গ্রামে প্রশাসনের নজরদারি ও তদারকি আরও বাড়াতে হবে। উপসর্গ নিয়ে কেউ যেন বাড়িতে বসে না থাকেন। তাঁদের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়া মৃত্যুহার কমানো সম্ভব নয়। চিকিৎসা নিতে যত দেরি হবে, মৃত্যুর ঝুঁকি তত বাড়বে।  তিনি আরও  বলেন, সংক্রমণের হার কমানোর জন্য শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প পথ নেই। যত দ্রুত সম্ভব, গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। কেননা মারা যাওয়া রোগীদের বেশির ভাগই গ্রাম থেকে আসা বয়স্ক নারী–পুরুষ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় আজ আরও ১২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত-১১৪

আপডেট টাইম : ০১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ :
করোনা সংক্রমণের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় প্রথম কুষ্টিয়া। অস্বাভাবিক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারণে কুষ্টিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন করোনায় ও ১ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

রবিবার  (০৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন, এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার  সকাল ৮টা থেকে রবিবার  সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়েছে।

বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ১৭৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ও ৫২ জন উপসর্গ নিয়ে মোট ২২৬ জন ভর্তি রয়েছেন।

পিসিআর ল্যাব ও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৪ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২২.৮৪% শতাংশ। জেলায় গত প্রায় দেড় মাসের মধ্যে করোনায় শনাক্তের গড় আজকেই সর্বনিম্ন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.  আব্দুল মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তে আছে। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবিরের বলেন , গ্রামে গ্রামে প্রশাসনের নজরদারি ও তদারকি আরও বাড়াতে হবে। উপসর্গ নিয়ে কেউ যেন বাড়িতে বসে না থাকেন। তাঁদের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়া মৃত্যুহার কমানো সম্ভব নয়। চিকিৎসা নিতে যত দেরি হবে, মৃত্যুর ঝুঁকি তত বাড়বে।  তিনি আরও  বলেন, সংক্রমণের হার কমানোর জন্য শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প পথ নেই। যত দ্রুত সম্ভব, গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। কেননা মারা যাওয়া রোগীদের বেশির ভাগই গ্রাম থেকে আসা বয়স্ক নারী–পুরুষ।


প্রিন্ট