মোঃ জিয়াউর রহমানঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে আব্দুল আজিজ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (২ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর স্কুল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল আজিজ (৩০) দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের ইলু আলীর ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন। অভিযুক্ত পলাশ (২৮) কলেজপাড়া এলাকার রফিকুল আকরামের ছেলে। দুজনই বিএনপি কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
স্থানীয়রা জানান, ভিজিএফের কার্ডের আবেদন করেছিলেন আব্দুল আজিজ, কিন্তু তার কার্ড হয়নি। কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আজিজের কাছ থেকে পলাশ ৫০০ টাকা নেন। কার্ড না হওয়ায় বুধবার রাতে পলাশের কাছে টাকা ফেরত চাইতে যান আজিজ। টাকা ফেরত না দেওয়ায় দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর পলাশ পরিকল্পিতভাবে আজিজের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। এতে আজিজ গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা ফরজুল্লাহ বলেন, রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মথুরাপুর স্কুল বাজারে আজিজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে পলাশ। ভিজিএফের কার্ড দেওয়ার কথা বলে আজিজের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছিল পলাশ। কিন্তু অনলাইনে চেক করে দেখা যায়, আজিজের কার্ড হয়নি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বাগবিতণ্ডা হয়। পরে পলাশ ছুরি দিয়ে আজিজের পেটে আঘাত করে, এতে আজিজের মৃত্যু হয়। নিহত আজিজ ও অভিযুক্ত পলাশ দুজনই স্থানীয় বিএনপির কর্মী এবং পলাশ বিএনপি নেতা মাহাবুল মাস্টারের সমর্থক।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শহীদ সরকার মঙ্গল বলেন, আমি শুনেছি ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্বে একজন নিহত হয়েছে। তবে এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি। তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না। নিহতের পরিবার ও অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা বলেন, ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল আজিজ নিহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশ কাজ করছে।
প্রিন্ট