ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রাজশাহীর রথের মেলায় যুবদল-এনসিপি’র নামে চাঁদা উত্তোলন

মনোয়ার হোসেনঃ

 

রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রথের মেলাকে ঘিরে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে যুবদল ও এনসিপি’র নাম ব্যবহারকারী একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলোচিত সন্ত্রাসী আলতু ও তার ভাতিজা সাদেক ওরফে ‘বুদ্ধু’ দোকান বসানোর জন্য মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করছে।

 

চক্রটি দোকানপ্রতি ২০–২৫ হাজার টাকা দাবি করছে। চাঁদা না দিলে দোকান বসাতে দিচ্ছে না, এমনকি হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় দোকানদারদের তাড়িয়ে বাইরে থেকে ব্যবসায়ী এনে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

 

যুবদল নেতা তানভীর আহমেদ সুইট জানান, সাদেক ও তার দলবল—সুমন, বিকি, খোকন, পিন্টু, রাসেল, শাওন ও মিশর—মেলাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির দাপট চালিয়ে যাচ্ছে। সাদেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও ৩১ বছরের সাজা থাকলেও সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

 

চাঁদাবাজির সময় যুবদল ও এনসিপির নাম ব্যবহার করা হলেও দলীয় নেতারা এর দায় নিচ্ছেন না। যুবদল নেতা তানভীর আহমেদ সুইট বলেন, “আমার বা দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ এমন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।” একই সুর এনসিপির নেতা আবির হোসেন রুদ্রের কণ্ঠেও।

 

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনের নীরবতায় চক্রটি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত, অনেকে নিরাপত্তার অভাবে মেলা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

 

নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী মহল ও সচেতন মহল অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

রাজশাহীর রথের মেলায় যুবদল-এনসিপি’র নামে চাঁদা উত্তোলন

আপডেট টাইম : ১০ ঘন্টা আগে
মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :

মনোয়ার হোসেনঃ

 

রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রথের মেলাকে ঘিরে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে যুবদল ও এনসিপি’র নাম ব্যবহারকারী একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলোচিত সন্ত্রাসী আলতু ও তার ভাতিজা সাদেক ওরফে ‘বুদ্ধু’ দোকান বসানোর জন্য মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করছে।

 

চক্রটি দোকানপ্রতি ২০–২৫ হাজার টাকা দাবি করছে। চাঁদা না দিলে দোকান বসাতে দিচ্ছে না, এমনকি হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় দোকানদারদের তাড়িয়ে বাইরে থেকে ব্যবসায়ী এনে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।

 

যুবদল নেতা তানভীর আহমেদ সুইট জানান, সাদেক ও তার দলবল—সুমন, বিকি, খোকন, পিন্টু, রাসেল, শাওন ও মিশর—মেলাকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজির দাপট চালিয়ে যাচ্ছে। সাদেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও ৩১ বছরের সাজা থাকলেও সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

 

চাঁদাবাজির সময় যুবদল ও এনসিপির নাম ব্যবহার করা হলেও দলীয় নেতারা এর দায় নিচ্ছেন না। যুবদল নেতা তানভীর আহমেদ সুইট বলেন, “আমার বা দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ এমন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।” একই সুর এনসিপির নেতা আবির হোসেন রুদ্রের কণ্ঠেও।

 

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনের নীরবতায় চক্রটি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত, অনেকে নিরাপত্তার অভাবে মেলা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

 

নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী মহল ও সচেতন মহল অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।


প্রিন্ট