ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মেঘনায় মাঝ নদীতে ভাসছিল ৪০ যাত্রীসহ ট্রলার, এরপর যা ঘটল

হানিফ উদ্দিন সাকিবঃ

 

নোয়াখালীর জেলার বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ইঞ্জিন বিকল হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা গন্তব্যহীনভাবে ভেসে ছিল ‘এফবি মা বাবার দোয়া’ নামে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার। পরে সি-ট্রাক গিয়ে ৪০ যাত্রীসহ ট্রলারটি নিরাপদে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলের দিকে উপজেলার নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাট রুটে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাটগামী ট্রলার ‘এফবি মা বাবার দোয়া’ মঙ্গলবার সকালে মাঝিসহ ৪০ যাত্রীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পথে মেঘনা নদীর মাঝামাঝি পৌঁছালে দুপুরের দিকে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর নদীতে ভেসে যেতে থাকে। খবর পেয়ে নলচিরা ঘাট থেকে ছেড়ে আসা বে-ক্রুজার সি-ট্রাক দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রলারটিকে টেনে নিরাপদে চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং উদ্ধার কাজে সহায়তাকারী সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ট্রলারের মাঝি মো. শরিফ বলেন, ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় আমরা উদ্দেশ্যহীনভাবে ভাসতে থাকি। অনেক ট্রলারকে ফোন দিয়েছি কোথাও সাড়া পায়নি। কেউ দূরে আবার কেউ নিজেরাই চরে আটকে আছে এমন কিছু জেনে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে আল্লাহ সহায় হয়েছেন বলেই আমরা কূলে ফিরতে পেরেছি।

আব্দুর রহমান নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সামান্য অসতর্কতা বা দেরিতে উদ্ধার অভিযান চালালে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যাত্রীবাহী ট্রলারগুলোর নিয়মিত তদারকি ও ফিটনেস যাচাইয়ের দাবি জানাচ্ছি।

ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ শাহরাজ বলেন, ইঞ্জিন কখন নষ্ট হবে তা বলেকয়ে হয় না। আমরা সবাই চিন্তিত ছিলাম। আমাদের বিষয়টি চেয়ারম্যান ঘাটের জুয়েল ডাক্তারকে বললে তিনি নলচিরা ঘাট থেকে ছেড়ে আসা সি-ট্রাককে বলেন। তারপর আমাদের টেনে নিয়ে আসে সি-ট্রাক। আলহামদুলিল্লাহ আমরা সবাই নিরাপদে গন্তব্যে আসতে পেরেছি।

হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় হাতিয়ার বাসিন্দারা সব সময় প্রতিকূল মুহূর্তের মধ্যেই জীবনযাপন করতে হয়। তবে ৪০ যাত্রী নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছে বলে আলহামদুলিল্লাহ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মেঘনায় মাঝ নদীতে ভাসছিল ৪০ যাত্রীসহ ট্রলার, এরপর যা ঘটল

আপডেট টাইম : ১৩ ঘন্টা আগে
হানিফ উদ্দিন সাকিব, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :

হানিফ উদ্দিন সাকিবঃ

 

নোয়াখালীর জেলার বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ইঞ্জিন বিকল হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা গন্তব্যহীনভাবে ভেসে ছিল ‘এফবি মা বাবার দোয়া’ নামে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার। পরে সি-ট্রাক গিয়ে ৪০ যাত্রীসহ ট্রলারটি নিরাপদে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলের দিকে উপজেলার নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাট রুটে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাটগামী ট্রলার ‘এফবি মা বাবার দোয়া’ মঙ্গলবার সকালে মাঝিসহ ৪০ যাত্রীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পথে মেঘনা নদীর মাঝামাঝি পৌঁছালে দুপুরের দিকে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর নদীতে ভেসে যেতে থাকে। খবর পেয়ে নলচিরা ঘাট থেকে ছেড়ে আসা বে-ক্রুজার সি-ট্রাক দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রলারটিকে টেনে নিরাপদে চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং উদ্ধার কাজে সহায়তাকারী সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ট্রলারের মাঝি মো. শরিফ বলেন, ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় আমরা উদ্দেশ্যহীনভাবে ভাসতে থাকি। অনেক ট্রলারকে ফোন দিয়েছি কোথাও সাড়া পায়নি। কেউ দূরে আবার কেউ নিজেরাই চরে আটকে আছে এমন কিছু জেনে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে আল্লাহ সহায় হয়েছেন বলেই আমরা কূলে ফিরতে পেরেছি।

আব্দুর রহমান নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সামান্য অসতর্কতা বা দেরিতে উদ্ধার অভিযান চালালে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যাত্রীবাহী ট্রলারগুলোর নিয়মিত তদারকি ও ফিটনেস যাচাইয়ের দাবি জানাচ্ছি।

ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ শাহরাজ বলেন, ইঞ্জিন কখন নষ্ট হবে তা বলেকয়ে হয় না। আমরা সবাই চিন্তিত ছিলাম। আমাদের বিষয়টি চেয়ারম্যান ঘাটের জুয়েল ডাক্তারকে বললে তিনি নলচিরা ঘাট থেকে ছেড়ে আসা সি-ট্রাককে বলেন। তারপর আমাদের টেনে নিয়ে আসে সি-ট্রাক। আলহামদুলিল্লাহ আমরা সবাই নিরাপদে গন্তব্যে আসতে পেরেছি।

হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় হাতিয়ার বাসিন্দারা সব সময় প্রতিকূল মুহূর্তের মধ্যেই জীবনযাপন করতে হয়। তবে ৪০ যাত্রী নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছে বলে আলহামদুলিল্লাহ।


প্রিন্ট