আসলাম বেপারীঃ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের রহমান প্রামানিকের ডাঙ্গী গ্রামে নির্মাণাধীন ২০০ মিটার এইচবিবি (HBB) রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের নজর পড়ে ঘটনাটির ওপর।
–
গত ১৬ জুন এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে দ্রুত সরেজমিনে তদন্তে নামে উপজেলা প্রশাসন। তদন্ত শেষে দায়িত্বরত প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাস্তার কাজে ব্যবহৃত নিম্নমানের ইট অপসারণ করে সেখানে ভালো মানের ইট দিয়ে পুনঃনির্মাণের নির্দেশ দেন।
–
স্থানীয়দের অনেকে গণমাধ্যমের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। এলাকার সচেতন মহল বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “এমন সাহসী সাংবাদিকতা না হলে উন্নয়ন প্রকল্পে গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হতো না।”
–
চরভদ্রাসন উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস ছাত্তার বলেন, “ঈদুল আজহার ছুটির ফাঁকে কিছু নিম্নমানের ইট রাস্তার কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। সংবাদ প্রকাশের পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঠিকাদারকে দিয়ে নতুন ভালো মানের ইট এনে কাজটি পুনরায় করিয়েছি।”
–
ঠিকাদার কাজী বদরুজ্জামান বলেন, “জেলার চারটি ইটভাটা ঘুরে আমি সর্বোত্তম মানের ইট সংগ্রহ করেছি। প্রায় ১৮ হাজার ইট ব্যবহার করে এই ২০০ মিটার রাস্তাটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। সাইটের কয়েকজন লোক আমার অজান্তে ভুল করেছিল, কিন্তু আমি তা সংশোধন করেছি।”
–
জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আওতায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ উন্নয়নে শেখ ফিরোজের বাড়ি থেকে কাজেমের বাড়ি পর্যন্ত ২০০ মিটার দীর্ঘ এইচবিবি রাস্তা নির্মাণ কাজটি টেন্ডারভিত্তিকভাবে পেয়েছে ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালী কনস্ট্রাকশন’। রাস্তার মোট বরাদ্দ ছিল ৫ লাখ টাকা। তবে ঈদের ছুটির সুযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মী নিম্নমানের ইট ব্যবহারে জড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়।
–
তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী (এস.ও) মো. সাইফুদ্দিন বলেন, “আমি ইসলামিক জীবনাচার মেনে চলি। কাজের শতভাগ মান নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমি কোনো বিল অনুমোদন করবো না। এখানে কোনোরকম ‘ঠাপিনাপি’ দিয়ে বিল নেওয়ার সুযোগ নেই।”
প্রিন্ট