আলিফ হোসেনঃ
রাজশাহীর তানোরে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) এর কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই উপজেলা জুড়ে অবৈধভাবে ক্ষুদ্র ঋণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে একশ্রেণীর এনজিও।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো নজরদারি না থাকায় প্রতিনিয়ত এসব কথিত এনজিওর সংখ্যা বাড়ছে।
–
জানা গেছে, উপজেলা সদর, চৌবাড়িয়া ও মুন্ডুমালা পৌর এলাকাসহ আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে এনজিও নামের কথিত সমবায় সমিতি, জেঁকে বসেছে দাদন, হচ্ছে অবৈধ লেনদেন। অবস্থা এমন যে মাদক, সন্ত্রাস, জুয়া থেকেও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে দাদন। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনের অভিযানে নামা উচিৎ বলে মনে করেন সচেতন সমাজ।
–
স্থানীয়রা জানান, অবৈধ সমিতির আড়ালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছে দাদন চক্র। অধিকাংশক্ষেত্রে চটকদার নাম দিয়ে রাতারাতি গড়ে উঠা এসব কথিত সমিতির ফাঁদ যেনো মগের মুল্লুকে রুপ নিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পাড়া-মহল্লায় সংঘবদ্ধ দাদন সিন্ডিকেট চক্র ঘন্টা চুক্তি, দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তিতে দাদন দিয়ে থাকেন। বিপরীতে মর্গেজ হিসেবে ঋণ গ্রহীতার কাছে থেকে তার টিপসহী ও স্বাক্ষর সংবলিত ৩শ’ টাকা মুল্যর ফাঁকা ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এবং ব্যাংক চেক বইয়ের পাতা। টাকা পরিশোধে ব্যর্থ বা একটু এদিক-সেদিক হলেই এসব স্ট্যাম্প-চেকে টাকার অঙ্ক চারগুন বশিয়ে আদালতে ঠুকে দিচ্ছে মামলা বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
–
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় সবুজ ছায়া নামের একটি কথিত এনজিও রাতারাতি উধাও হয়েছে।তবে এনজিওর মালিক আবুল কালাম আজাদ বলেন,আর্থিক সংকট ও করোনার কারণে তারা তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছেন।উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মাদারীপুর বাজার থেকে ফেমাস নামের একটি কথিত এনজিও রাতারাতি উধাও হয়েছে। এছাড়াও সমাজ উন্নয়ন কর্মসংস্থা,গরীব উন্নয়ন, ইজেনসহ একাধিক এনজিও রাতারাতি উধাও হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রিন্ট