ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আলমডাঙ্গার কানাইনগর-শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া Logo কুষ্টিয়ায় জুলাই বিপ্লব নিয়ে কটূক্তি করায় সেই পুলিশ সদস্য ক্লোজড Logo যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ব্যালকনি ভেঙে প্রকৌশলীসহ নিহত ৩ Logo শিবপুরে কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের ৫২ লাখ টাকাসহ দুই কর্মকর্তা গোয়েন্দার জালে আটক Logo বেনাপোলের বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র জরুরি কর্মীসভা অনুষ্টিত Logo সিংড়ায় ছাত্রশিবিরের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Logo জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ফুলবাড়ীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দোয়া মাহফিল Logo কাফনের কাপড় পরে কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও Logo তানোরে পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু Logo তানোরে ফসলি জমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাজারে আমের দামে ধস, বিপাকে চাষিরা

আনিসুর রহমানঃ

নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে আমের দাম কমে গেছে। এতে একদিকে ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও বিপাকে পড়েছেন আম চাষিরা। গত কয়েক দিনে আমের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এছাড়া গত দুই দিনে বৃষ্টিতে অনেক আম নষ্ট হয়েছে, সেই কারনেও আমের মূল্য কমেছে। চাষিরা আম পেড়ে একসাথে বিক্রি করতে নিয়ে আসছে, এজন্যও কমেছে আমের দাম। বাগাতিপাড়া, লালপুর, রাজশাহীসহ বৃহত্তর উত্তরাঞ্চল থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে টনকে টন আম দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে যাচ্ছে।

বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় মোট ১২১০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৪৭৬১ মেট্রিক টন।

বাগাতিপাড়ার মালঞ্চি ও তমালতলা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেখানে কয়েকদিন আগেও গোপালভোগ আম ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে। হিমসাগর, ল্যাংড়া, রূপালী ও মল্লিকা আমের দামেও একই ধরণের পতন দেখা যাচ্ছে। লক্ষণ ভোগ আম বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকায়। এছাড়া ফজলি আমের ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না, ফলে গাছে ও আড়তেই পচে যাচ্ছে এই আম।

চাষিদের অভিযোগ, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তারা। পাইকারদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন ব্যয় এবং সংরক্ষণের অভাবকেই দায়ী করছেন তারা। স্থানীয় আমচাষি মনিরুল ইসলাম মাখন বলেন, “আমের দাম এত কম যে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। খরচ উঠছে না।”

এদিকে, ভোক্তারা বলছেন, বছরের এই সময়ে কিছুটা সস্তায় আম কিনতে পারায় তারা খুশি। তবে সরকারিভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে প্রতিবছরই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মালঞ্চি বাজারের মেসার্স সোমাইয়া ট্রেডার্স নামের ফল আড়ৎ এর প্রোপাইটর শরিফুল ইসলাম সুজন জানান, আমের ক্রেড়া পাওয়া যাচ্ছে না, এজন্য অনেক আম আড়তে থেকে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায় বলেন, আমের দাম কমার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত সরবরাহ, পরিবহন সমস্যা এবং ঈদের ছুটি সহ কয়েকটি বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে। আমের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম স্থিতিশীল করতে তারা কাজ করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, খুব শীঘ্রই এই সমস্যা সমাধান হবে এবং সারাদেশে আমের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আলমডাঙ্গার কানাইনগর-শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া

error: Content is protected !!

বাজারে আমের দামে ধস, বিপাকে চাষিরা

আপডেট টাইম : ১০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
আনিসুর রহমান, বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি :

আনিসুর রহমানঃ

নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজারে আমের দাম কমে গেছে। এতে একদিকে ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও বিপাকে পড়েছেন আম চাষিরা। গত কয়েক দিনে আমের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এছাড়া গত দুই দিনে বৃষ্টিতে অনেক আম নষ্ট হয়েছে, সেই কারনেও আমের মূল্য কমেছে। চাষিরা আম পেড়ে একসাথে বিক্রি করতে নিয়ে আসছে, এজন্যও কমেছে আমের দাম। বাগাতিপাড়া, লালপুর, রাজশাহীসহ বৃহত্তর উত্তরাঞ্চল থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে টনকে টন আম দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে যাচ্ছে।

বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় মোট ১২১০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৪৭৬১ মেট্রিক টন।

বাগাতিপাড়ার মালঞ্চি ও তমালতলা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেখানে কয়েকদিন আগেও গোপালভোগ আম ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, এখন তা ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে। হিমসাগর, ল্যাংড়া, রূপালী ও মল্লিকা আমের দামেও একই ধরণের পতন দেখা যাচ্ছে। লক্ষণ ভোগ আম বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকায়। এছাড়া ফজলি আমের ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না, ফলে গাছে ও আড়তেই পচে যাচ্ছে এই আম।

চাষিদের অভিযোগ, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তারা। পাইকারদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন ব্যয় এবং সংরক্ষণের অভাবকেই দায়ী করছেন তারা। স্থানীয় আমচাষি মনিরুল ইসলাম মাখন বলেন, “আমের দাম এত কম যে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। খরচ উঠছে না।”

এদিকে, ভোক্তারা বলছেন, বছরের এই সময়ে কিছুটা সস্তায় আম কিনতে পারায় তারা খুশি। তবে সরকারিভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে প্রতিবছরই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মালঞ্চি বাজারের মেসার্স সোমাইয়া ট্রেডার্স নামের ফল আড়ৎ এর প্রোপাইটর শরিফুল ইসলাম সুজন জানান, আমের ক্রেড়া পাওয়া যাচ্ছে না, এজন্য অনেক আম আড়তে থেকে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায় বলেন, আমের দাম কমার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত সরবরাহ, পরিবহন সমস্যা এবং ঈদের ছুটি সহ কয়েকটি বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে। আমের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম স্থিতিশীল করতে তারা কাজ করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, খুব শীঘ্রই এই সমস্যা সমাধান হবে এবং সারাদেশে আমের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।


প্রিন্ট