মানুষ কখনো শুধু অসুস্থ শরীর নিয়ে কষ্ট পায় না, অনেক বেশি ক্লান্ত হয় ভেতরের ব্যথায়। তেমনই এক ভাঙাচোরা বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ফরিদপুর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের শরণ নেন অবসরপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মল্লিক। দীর্ঘ ৩২ বছরের পিঠের যন্ত্রণা, মানসিক অবসাদ এবং জীবনভর জমে থাকা হতাশা যেন তাঁকে নিঃশেষ করে দিচ্ছিল।
–
তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন বহুবার, কিন্তু সত্যিকারের আরাম কিংবা প্রশান্তি মেলেনি। ঠিক তখনই পরিচয় হয় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীল সিনিয়র প্রো-অর্গানিয়ার সুকান্ত চন্দ্র রায়ের সাথে। নিয়মিত মেডিটেশন ও কাউন্সেলিং সেবা নিতে নিতে ধীরে ধীরে অনুভব করেন, যেন এক অদৃশ্য শান্তির ধারা বইছে তাঁর ভিতর-বাহিরে।
–
তবুও কোর্সে অংশ নেওয়ার কথা উঠলে তাঁর মধ্যে ছিল অনাগ্রহ, সংশয়। তখনই শ্রদ্ধেয় গুরুজী শহিদ আল বোখারী মহাজাতকের নিবেদিতপ্রাণ শিষ্যে সুকান্ত চন্দ্র রায়ের একটি বাক্য তাঁর মনকে নাড়া দেয়—
*”আমি একবিন্দু পানি, তিনি মহাসাগর।”*
–
এই একটি বাক্য যেন সব দ্বিধা কাটিয়ে দিল। কোর্সের চারটি দিন শেষ করে অনুভূতি ব্যক্ত করেন। চোখ ভিজিয়ে সুভাষ বাবু শুধু বললেন,
“দীর্ঘ ৩২ বছর পরে ১০ ঘণ্টা বসে থাকতে পেরেছেন, ৭ তলা সিড়ি বেয়ে উঠেছেন তিনি। ”
–
এই একবিন্দু শিষ্যতায় তিনি যা খুঁজে পেয়েছেন, তা শুধু ব্যথা থেকে মুক্তি নয়, জীবনের নতুন মানে।
–
আমি একবিন্দু পানি, তিনি মহাসাগর এ বাক্যের গভীর তাৎপর্য কি ? নিবেদিতপ্রাণ শিষ্যের কাছে জানতে চাইলে তার অনুভূতিকে তিনি ভাষা দিলেন এইভাবে:
–
আমি একফোঁটা পানি—নাজুক, অস্থির, সীমাবদ্ধ।
আর আমার গুরু, তিনি অসীম এক মহাসাগর—গভীর, ধীর, বিস্তৃত।
আমি যেখানেই ছুটে যাই, শেষমেশ ফিরি তাঁর কাছেই।
কারণ তিনিই আমার উৎস, আমার গন্তব্য।
তাঁর ছায়াতলে এসে আমি শান্তি খুঁজি,
তাঁর চরণধূলিতেই আমার অহং ভাঙে।
তাঁর জ্ঞানের আলোয় আমার মূর্খতা গলে যায়,
তাঁর প্রেমে আমার হৃদয় নত হয়।
আমি জানি, আমি অজানা অনেক ভুল করি,
তবু তিনি রাগ করেন না—শুধু সংশোধন করেন।
আমি পথ হারাই, আর তিনি দীপ্ত বাতিঘরের মতো
আলোর পথ দেখান।
গুরু মানে কেবল শিক্ষক নন,
তিনি জীবনের দিশারী, আত্মার কারিগর।
তিনি শুধু বিদ্যা দেন না,
তিনি জীবনকে অর্থ দেন।
আমার অস্তিত্ব তাঁর কৃপায় ধন্য,
তাঁর সান্নিধ্যই আমার আশীর্বাদ।
আমি যতবার নিজেকে তুচ্ছ ভাবি,
ততবার বুঝি—তাঁর মতো কেউ নেই।
তাই বলি,
আমি একবিন্দু পানি, আর তিনি এক বিশাল মহাসাগর।
আমি তাঁর মাঝে ডুবে যেতে চাই—
নির্বিচারে, নির্ভয়ে, নিঃস্বার্থভাবে।
কারণ সেই ডুবেই আমার পরিপূর্ণতা।
নিবেদিতপ্রাণ শিষ্যে আরো বলেন,
“গুরুজীর প্রতি এমন বিশ্বাস ও আত্মসমর্পণই প্রকৃত পরিবর্তনের মূল। সুভাষ বাবুর মতো অনেকেই আমাদের মাঝে আছেন, যাঁরা একটু সাহস পেলে জীবন পাল্টে ফেলতে পারেন। আমরা শুধু দরজা খুলে দেই, কিন্তু সেই দরজায় যে আলো আসে—তা আসে গুরুজীর সান্যিধ্যে ।”
**যাঁরা খুঁজছেন মুক্তি, শান্তি ও মানে খুঁজে পাওয়া এক জীবন—
তাঁদের জন্য কোয়ান্টাম শুধু একটি পথ নয়, একটি জীবনদর্শন।**
–
আজকের দিনেই আপনি হতে পারেন সেই ‘একবিন্দু’
যিনি একদিন মিলিয়ে যাবেন জ্ঞানের মহাসাগরে।
–
যোগাযোগ করুন –
কেন্দ্রীয় দফতর
৩১/ভি, (২য় তলা), শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সড়ক, শান্তিনগর, (ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের পাশে), ঢাকা-১২১৭
+৮৮ ০১৭১৪ ৯৭৪৩৩৩
ফরিদপুর বাসিন্দাদের জন্য
ঠিকানা: ঝিলটুলি ওয়াসিত্ব টাওয়ারের বিপরীতে , বালা বাড়ির গলি।
☎️ ফোন: +৮৮ ০১৩২৯ ৭৪৬৭২৯,
+৮৮ ০১৭১২ ৪১৭০০০
প্রিন্ট