ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল ! Logo গোপালগঞ্জে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন Logo নাটোরে আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিদর্শন এর দাবিতে মানববন্ধন Logo বাঘার পদ্মায় ধরা পড়ছে বাঘাইড়, কপাল খুলছে জেলেদের Logo বালিয়াকান্দিতে স্পোর্টস একাডেমির উদ্যগে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন Logo আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের জন্য কালুখালীতে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন Logo কালুখালীর ৮৪ কৃষান কিষানী পেল পুষ্টি বাগানের উপকরণ Logo বাঘায় রোটারি ক্লাব অফ মেট্রোপলিটনের শীত বস্ত্র বিতরণ Logo ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ৯ কৃষকের জমি দখলের চেষ্টা! Logo দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বয়স্ক নারীদের শীতবস্ত্র ও শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নড়াইলে শশা-ক্ষীরই চাষ করে ভাগ্য বদলেছে আনেকের

নড়াইলে শশা-ক্ষীরই চাষে বিপ্লব ঘটছে। প্রতি বছরই এ ফসলের চাষের জমি বাড়ছে। এ চাষ করে অনেকেই এখন ভাগ্য বদল করছেন। বর্তমানে সাড়ে ৩ হাজার পরিবার এ চাষে যুক্ত। জেলার চাহিদা মিটিয়ে করোনাকালেও খুলনা, যশোর, রাজশাহী এবং ঢাকায় এ শশা ও ক্ষীরই রফতানি হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে শশা ও ক্ষীরইয়ের চাষ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ১০ হেক্টর বেশী। সদরের শোভারঘোপ, বড়গাতি, চুনখোলা,তারাপুর, বিছালী, চাকই, আড়পাড়া, মির্জাপুর, মধুরগাতি,বিড়গ্রাম, মুশুরি, কলোড়া, আগদিয়া, ভদ্রবিলা, মিরাপাড়া ও পাইকাড়া গ্রামে প্রধানত বানিজ্যিক ভিত্তিতে এই শশা ও ক্ষীরই চাষ হচ্ছে। প্রতিদিন দেড় থেকে দু’শ মন শশা ও ক্ষীরই জেলার হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

সদরের সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের চুনখোলা গ্রামের ভূমিহীন জাহান্দার বিশ্বাস (৪০) জানান, দীর্ঘ ১১ বছর ১ এশর জমি বর্গা নিয়ে শশা ও ক্ষীরই-এর চাষ করছেন। এ কাজে তার স্ত্রী রূপালী বেগমও সরাসরি সহায়তা করে থাকেন। লাভের টাকা দিয়ে তিনি ১৫ শতক জমি কিনে আধা পাকা ঘরও নির্মাণ করেছেন। প্রতি বছর তিনি প্রায় ১ লাখ টাকা ঘরে তোলেন বলে জানান।

বড়গাতি গ্রামের প্রান্তিক চাষি প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, তিনি ৮ বছর ধরে ৬০ শতক জমি লিজ নিয়ে শশা ও ক্ষীরই-এর চাষ করছেন। বছরে খরচ বাদে ৫০-৬০ হাজার টাকা ঘরে তোলেন। একই গ্রামের প্রান্তিক চাষি ভূবন বিশ্বাস জানান, ৬ বছর ধরে ৫০ শতক জমি বর্গা নিয়ে শশার চাষ করছেন। প্রতি বছর প্রায় ৪০-৪৫ হাজার টাকা লাভ করেন।

সদরের বিছালী গ্রামের শশা ব্যাপারি মিঠু মোল্যা বলেন, বাজারে প্রতি মন শশা ৫শ-৬শ টাকা বিক্রি হলেও আগে ৮শ-৯শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০টি মিনি ট্রাক বোঝাই শশা ও ক্ষীরই যশোর, খুলনা, রাজশাহী, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। তবে করোনার কারনে পরিবহনে একটু সমস্যা হচ্ছে বলে জানান।

নড়াইল কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, এখানকার মাটি ও জমির শ্রেণি শশা চাষে উত্তম হওয়ায় প্রতি বছরই এ চাষ বাড়ছে। সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় সারা বছরই শশা-ক্ষীরই চাষ সম্ভব। একজন কৃষক ৩৩ শতকের ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৭৫ দিনে শশার চাষ করে ২০-৩০ হাজার টাকা লাভ করতে পারেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশ্ন সারজিসের; কুকুর কীভাবে সচিবালয়ে ঢুকল !

error: Content is protected !!

নড়াইলে শশা-ক্ষীরই চাষ করে ভাগ্য বদলেছে আনেকের

আপডেট টাইম : ১২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ :

নড়াইলে শশা-ক্ষীরই চাষে বিপ্লব ঘটছে। প্রতি বছরই এ ফসলের চাষের জমি বাড়ছে। এ চাষ করে অনেকেই এখন ভাগ্য বদল করছেন। বর্তমানে সাড়ে ৩ হাজার পরিবার এ চাষে যুক্ত। জেলার চাহিদা মিটিয়ে করোনাকালেও খুলনা, যশোর, রাজশাহী এবং ঢাকায় এ শশা ও ক্ষীরই রফতানি হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে শশা ও ক্ষীরইয়ের চাষ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ১০ হেক্টর বেশী। সদরের শোভারঘোপ, বড়গাতি, চুনখোলা,তারাপুর, বিছালী, চাকই, আড়পাড়া, মির্জাপুর, মধুরগাতি,বিড়গ্রাম, মুশুরি, কলোড়া, আগদিয়া, ভদ্রবিলা, মিরাপাড়া ও পাইকাড়া গ্রামে প্রধানত বানিজ্যিক ভিত্তিতে এই শশা ও ক্ষীরই চাষ হচ্ছে। প্রতিদিন দেড় থেকে দু’শ মন শশা ও ক্ষীরই জেলার হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

সদরের সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের চুনখোলা গ্রামের ভূমিহীন জাহান্দার বিশ্বাস (৪০) জানান, দীর্ঘ ১১ বছর ১ এশর জমি বর্গা নিয়ে শশা ও ক্ষীরই-এর চাষ করছেন। এ কাজে তার স্ত্রী রূপালী বেগমও সরাসরি সহায়তা করে থাকেন। লাভের টাকা দিয়ে তিনি ১৫ শতক জমি কিনে আধা পাকা ঘরও নির্মাণ করেছেন। প্রতি বছর তিনি প্রায় ১ লাখ টাকা ঘরে তোলেন বলে জানান।

বড়গাতি গ্রামের প্রান্তিক চাষি প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, তিনি ৮ বছর ধরে ৬০ শতক জমি লিজ নিয়ে শশা ও ক্ষীরই-এর চাষ করছেন। বছরে খরচ বাদে ৫০-৬০ হাজার টাকা ঘরে তোলেন। একই গ্রামের প্রান্তিক চাষি ভূবন বিশ্বাস জানান, ৬ বছর ধরে ৫০ শতক জমি বর্গা নিয়ে শশার চাষ করছেন। প্রতি বছর প্রায় ৪০-৪৫ হাজার টাকা লাভ করেন।

সদরের বিছালী গ্রামের শশা ব্যাপারি মিঠু মোল্যা বলেন, বাজারে প্রতি মন শশা ৫শ-৬শ টাকা বিক্রি হলেও আগে ৮শ-৯শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০টি মিনি ট্রাক বোঝাই শশা ও ক্ষীরই যশোর, খুলনা, রাজশাহী, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। তবে করোনার কারনে পরিবহনে একটু সমস্যা হচ্ছে বলে জানান।

নড়াইল কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, এখানকার মাটি ও জমির শ্রেণি শশা চাষে উত্তম হওয়ায় প্রতি বছরই এ চাষ বাড়ছে। সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় সারা বছরই শশা-ক্ষীরই চাষ সম্ভব। একজন কৃষক ৩৩ শতকের ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৭৫ দিনে শশার চাষ করে ২০-৩০ হাজার টাকা লাভ করতে পারেন।


প্রিন্ট